বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোঁকড়া চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:২৫

কোঁকড়া চুলে সরাসরি ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। এতে চুল ভেঙে বা ছিঁড়ে যায়। চুল আচড়ানোর সময় প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি শুধু আঙুল বুলিয়ে চুল ঠিক করে রাখতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে ভেজা চুলে কোনোভাবেই ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে না।

মানুষভেদে চুল ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোঁকড়া চুল। এই চুল কিছুটা সংবেদনশীল। সঠিক পরিচর্যার অভাবে ঝরে যাওয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোঁকড়া চুল সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে আগেভাগেই সাবধান হওয়া জরুরি। স্কিন ক্রাফট সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোঁকড়া চুল পরিচর্যার কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা। চলুন জেনে নেয়া যাক-

চুল ধোয়া

চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাজ হলো নিয়মিত চুল ধোয়া অথবা পরিষ্কার করা। ঠিকভাবে চুল না ধুলে তাতে ধুলাবালি, ক্ষতিকারক তেল আর খুশকি লেগে থাকে। ফলে চুল ঝরে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত চুল না ধোয়ার প্রধান উপসর্গ হলো চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া। এর ফলে হালকা টান লাগলেও চুল আলগা হয়ে যায়।

শ্যাম্পু নির্বাচন

বাজারে অনেক ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে আপনার ত্বকের জন্য কোন শ্যাম্পু কার্যকর, সেটি খুঁজে বের করা জরুরি। ঠিকমতো যাচাই-বাছাই না করে যেকোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করতে থাকলে হিতে বিপরীত হবে। শ্যাম্পু নির্বাচনের সময় সবচেয়ে জরুরি হলো শ্যাম্পুটি সালফেট, সিলিকন, অ্যালকোহল বা প্যারাবেনসের মতো উপাদানমুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা। এগুলো মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে সেটিও ত্যাগ করতে হবে।

শ্যাম্পু করার আগে

বেশির ভাগ সময় দেখা যায় কোঁকড়া চুল খুবই শুষ্ক হয়। তাই শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলোকে প্রস্তুত করে নিতে হেয়ার মাস্ক বা কন্ডিশনিং অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের রুক্ষভাব দূর হয়ে যাবে আর শ্যাম্পুও অধিক কার্যকর হয়ে ওঠবে।

ব্রাশ করবেন না

কোঁকড়া চুলে সরাসরি ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। এতে চুল ভেঙে বা ছিঁড়ে যায়। চুল আচড়ানোর সময় প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি শুধু আঙুল বুলিয়ে চুল ঠিক করে রাখতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে ভেজা চুলে কোনোভাবেই ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে না।

ঠান্ডা পানি

মাথার ত্বকে গরম পানি লাগালে তা চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল কিংবা সিরামের কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলে। এটি চুলের গোড়াও দুর্বল করে দিতে পারে। যার ফলে চুলের স্ট্র্যান্ডগুলো কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙেও যায়। এসব জটিলতা এড়াতে চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।

ঘুমানোর আগে

রাতে ঘুমানোর আগে খোঁপা কিংবা হালকা করে চুলগুলো পনিটেল করে বেঁধে নিন। এটি চুলের সঙ্গে বালিশের ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া সুতি কিংবা অন্য কাপড়ের পরিবর্তে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে ড্যামেজ কম হবে।

এ বিভাগের আরো খবর