বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৭

একসঙ্গে একগাদা মানুষ হাসপাতালে গেলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, যা অন্যদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। দলবদ্ধ না হয়ে একজন-দুইজন করে যাওয়াই ভালো।

প্রিয়জন হাসপাতালে থাকলে তাকে দেখতে যেতেই হয়। এতে অসুস্থ ব্যক্তি মানসিকভাবে সতেজ থাকে এবং সুস্থ হয়ে ওঠাও ত্বরান্বিত হয়।

তবে অন্যান্য জায়গার তুলনায় হাসপাতালের পরিবেশ ভিন্ন। অন্য স্থানে একজন মানুষ যেমন আচরণ করে, এখানে তা করা যায় না। হাসপাতালের নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন থাকে। সেগুলো রক্ষা করা সবার কর্তব্য। দুঃখের ব্যাপার হলো, অনেকেই এসব নিয়ম জানেন না। ফলে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়।

দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রোগীর কাছে যাওয়ার কিছু নিয়মের কথা। চলুন জেনে নেয়া যাক-

হাসপাতালের নিজস্ব নিয়ম

বেশির ভাগ হাসপাতালেরই নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকে। সেগুলো জেনে নিতে হবে এবং মেনে চলতে হবে। রোগীর সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো বিশ্রাম। রোগী দেখতে যাওয়ার ফলে তার বিশ্রামে অসুবিধা হবে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অতিরিক্ত জিনিসপত্র পরিহার করতে হবে

হাসপাতালে যাওয়ার সময় রোগীর জন্য এটা-সেটা নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে থাকে ফুল, বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং পুতুলসহ আরও অনেক কিছু। সাধারণত এসব খাবার রোগীর কাজে লাগে না। উল্টো হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়। তাই এসব পরিহার করতে হবে। যদি কিছু নিতেই হয়, তাহলে রোগী অথবা তার কাছের কাউকে আগেই জিজ্ঞেস করে নিয়ে যাওয়া ভালো।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

রোগীর জন্য সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বাইরে থেকে কেউ রোগীর কাছে গেলে তার সঙ্গে রোগজীবাণুও চলে আসে। ফলে রোগীর সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে কেউ যদি অসুস্থ হয়, তাহলে সেই অবস্থায় কখনোই হাসপাতালে রোগীর কাছে যাওয়া যাবে না।

দলবদ্ধ হয়ে যাওয়া যাবে না

একসঙ্গে একগাদা মানুষ হাসপাতালে গেলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, যা অন্যদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। দলবদ্ধ না হয়ে একজন-দুইজন করে যাওয়াই ভালো।

রোগীর মানসিকতায় নজর

অসুস্থতার কারণে রোগী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকতে পারে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যাতে রোগী কোনোভাবে অস্বস্তি বোধ করে।

আশাবাদী থাকতে হবে

কোনোভাবেই রোগীর কাছে গিয়ে হতাশামূলক কথা বলা যাবে না। এ ধরনের কথা রোগীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিতে পারে। রোগীর আত্মীয়দেরও মানসিকভাবে সাপোর্ট দিতে হবে।

অন্যান্য

গাড়ি নিয়ে গেলে সেটাকে নির্ধারিত স্থানে পার্ক করতে হবে। রোগীর সামনে উচ্চ স্বরে কথা বলা বা হাসাহাসি করা একেবারেই নিষেধ।

এ বিভাগের আরো খবর