বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিজোফ্রেনিয়া কী প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:০৮

সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। একইভাবে এসব প্রভাব কমানোর জন্য ওষুধ, থেরাপি ও দৈনন্দিন সহায়তার ধরনও ব্যক্তিভেদে আলাদা। তবে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় সবার ক্ষেত্রে রোগটি দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। এমনকি তাদের যৌনজীবনও নানাভাবে প্রভাবিত হয়।

সিজোফ্রেনিয়া একটি বহুল পরিচিত স্নায়বিক-মানসিক রোগ। বিশ্বের এক শতাংশের কিছু কম মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তদের দ্বৈত সত্তা থাকে, তারা বিপজ্জনক ও উগ্র হয়ে ওঠেন। তবে এসব ধারণা মোটেই সঠিক নয়।

সিজোফ্রেনিয়াকে এখনও খুব ভালো করে ব্যাখ্যা করা যায়নি। কিশোর বা যুবা বয়সের শুরুতে রোগটির আক্রমণের সময় আক্রান্ত ব্যক্তি বা চিকিৎসক বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একে উদ্বেগ বা বিষণ্ণতার লক্ষণ ভেবে ভুল করেন।

রোগের মাত্রা বাড়তে থাকলে রোগী আকস্মিক বা নিয়মিত হ্যালুসিনেশনে ভোগেন। অনেকের কথাবার্তা ও চিন্তাভাবনায় অসংগতি দেখা যায়। অন্য মানুষের উদ্দেশ্য ও কার্যকলাপ নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের ভুল ধারণা তৈরি হয়।

সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরা বিভ্রম ও বাস্তবতার পার্থক্য সহজে বুঝতে পারেন না। অনেকে মনে সারাক্ষণ জেঁকে থাকে নিরানন্দ, কেউ কেউ আবার নিজেদের আবেগকে প্রকাশ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও জটিলতা অনুভব করেন অনেকে।

সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। একইভাবে এসব প্রভাব কমানোর জন্য ওষুধ, থেরাপি ও দৈনন্দিন সহায়তার ধরনও ব্যক্তিভেদে আলাদা। তবে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় সবার ক্ষেত্রে রোগটি দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। এমনকি তাদের যৌনজীবনও নানাভাবে প্রভাবিত হয়।

গবেষকেরা বলছেন, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরাও আর সব মানুষের মতোই যৌনতা ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহী। তবে তাদের জন্য সঙ্গী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, সিজোফ্রেনিয়ার উপসর্গগুলো এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি বা অব্যাহত রাখতে বাধা দেয়।

যারা সঙ্গী খুঁজে পান তারা জানিয়েছেন, উপসর্গের কারণে তারা যৌন আকর্ষণ অনুভব করতে বা যৌনতার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে সমস্যায় ভোগেন। যৌন চাহিদা প্রকাশেও মানসিক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সিজোফ্রেনিয়ার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধের কারণে অনেকের কামশক্তি, যৌন সংবেদনশীলতা ও অরগাজমে সমস্যা হতে পারে।

সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত অনেকের যৌনতার অনুভূতি আবার প্রচণ্ড তীব্র (হাইপারসেক্সুয়ালিটি) হতে পারে। এই বৈশিষ্ট্য থেকে সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও যৌন রোগে ভোগার একটি ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব।

সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের জন্য যৌনতা ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সামলানো কঠিন হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছুদিন আগ পর্যন্তও তেমন মাথা ঘামাননি। অনেক চিকিৎসক রোগীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেও আগ্রহী নন। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক জার্নাল ও পেশাদার গ্রুপে অনেকে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য পাবলিক ফোরামেও খোলাখুলি আলোচনা শুরু হয়েছে।

জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘লিভিং ওয়েল উইদ সিজোফ্রেনিয়া’ এর প্রতিষ্ঠাতা লরেন কেনেডি সিজোফ্রেনিয়াকে মেনে নিয়েই জীবনকে অনেকটা স্বাভাবিক রেখেছেন। লরেনের সঙ্গে বেশ দীর্ঘ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তার সঙ্গী রব লিম। সম্প্রতি এই দুজন নিজেদের যৌনজীবনে সিজোফ্রেনিয়ার প্রভাব এবং মানিয়ে চলার কৌশল নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।

তাদের কথোপকথনটি নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য কিছুটা সংক্ষেপিত আকারে প্রকাশ করা হলো।

লরেন: আমি যখন হাই স্কুলে পড়ি তখন সিজোফ্রেনিয়া শুরু হয়। শুরুতে মুড খারাপ থাকত। ভাবতাম, আমি ডিপ্রেশনে ভুগছি। সেটি হঠাৎ হঠাৎ তীব্র আনন্দ বা তীব্র হতাশা ও উন্মাদনায় পরিণত হতো। (আমার সিজোএফেক্টিভ ডিসঅর্ডার আছে। এটা অনেকটা সিজোফ্রেনিয়া ও বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মিশ্রণের মতো।)

আমার বয়স যখন চব্বিশ, তখন বিকট গন্ধ পেতাম, গায়েবি কথা শুনতাম। কেউ আমার নাম বলছে অথবা ফিসফাস করছে। আশপাশে কেউ নেই, কিন্তু শুনতাম। বিভ্রান্ত চিন্তা হতো; মনে হতো- চিকিৎসকেরা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন।

উপসর্গগুলো দেখা দেয়ার সময়ে আমি একটি দীর্ঘদিনের সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম। তবে রোগটির কারণে সেই সম্পর্কের ধরন পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। রোগটি আমাকে ঘিরে ফেলছিল, তখন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভাববার ফুরসত ছিল না। ২৫ বছর বয়সে আমার সিজোফ্রেনিয়া শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন আগে সেই সম্পর্কটি শেষ হয়ে যায়।

রোগটি ধরা পড়ার পর আমি নতুন সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করি। মনে হতো, সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে সমাজে গ্রহণযোগ্যতার অভাব রয়েছে। কেউই আমাকে মেনে নেবে না, আমি একজন ভালো সঙ্গীও পাব না। ওষুধ খাওয়া শুরুর সময়ে মনে হয়েছিল, আমি কোনো কিছুই ঠিকঠাকভাবে করতে সক্ষম নই। কাঙ্ক্ষিত সঙ্গীর সঙ্গে কখনও উপযুক্ত আচরণ আমি করতে পারব না।

আমার বয়স যখন ২৬, তখন রবের সঙ্গে পরিচয়। আমি এর আগেও ডেট করেছি, তবে কাউকে নিজের সিজোএফেক্টিভ ডিজঅর্ডার নিয়ে কিছু বলিনি। কথাটি বলা নিরাপদ মনে করতাম না। তবে রবের সঙ্গে তৃতীয় দেখার সময়ে তাকে সব খুলে বলি। সে বিষয়টিকে ভালোভাবেই নিয়েছিল।

রব: আমি মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছি। এ কারণে কিছুটা হলেও সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে জানা ছিল। তবে সেটা আমাদের দেখা হওয়ার প্রায় ১৫ বছর আগে, তাই খুব বেশি মনে ছিল না। লরেন বলার আগে আমি ওর মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার কোনো লক্ষণ ধরতে পারিনি।

লরেন: আমার মনে হয় সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে সে সময় তোমার ভালো ধারণা ছিল না। অথবা কীভাবে বিষয়টি আমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে তাও জানতে না। অনেক পরে তুমি এসব বুঝতে পেরেছ।

রব: আমার মনে হয়, তুমি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত বিষয়টির গুরুত্ব আমি বুঝতে পারিনি।

লরেন: তোমার কী মনে হয়, শুরুতে আমি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিলাম?

রব: ‘আমার সিজোফ্রেনিয়া আছে’- এটা বলা ছাড়াও অনেক কিছু বোঝানোর আছে। যেমন, বিষয়টি নিয়ে তোমার জানাশোনা কেমন।

লরেন: আমাদের ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ তুমি প্রথম কবে টের পেলে? আমি আগে কখনও এটা জিজ্ঞেস করিনি, কিন্তু এখন জানতে ইচ্ছা করছে।

রব: কিছু কিছু সময়ে তোমাকে অনেক ক্লান্ত মনে হতো। সেক্স করার জন্য সময়গুলো উপযুক্ত মনে হতো না। তবে আমাদের সম্পর্কের শুরুতে সবই স্বাভাবিক লেগেছে। হানিমুনে গিয়ে আমরা প্রচুর সেক্স করেছি, তখন সিজোফ্রেনিয়া কোনো প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হয়নি।

লরেন: যখন সুস্থ থাকতাম, তখন ডেটগুলো বেশ ভালো হতো। তবে উপসর্গ তীব্র হলে বাসায় শুয়ে থাকতাম। যখন নিজেকে অস্থির বা আবেগশূন্য মনে হচ্ছে অথবা হ্যালুসিনেশন হচ্ছে, তখন আসলে ঘনিষ্ঠ হওয়া মুশকিল। আবার এর মধ্যেও কখনও কখনও সেক্সের জন্য উন্মত্ত হয়ে যেতাম।

রব: হ্যাঁ, এগুলো আমি ধীরে ধীরে লক্ষ করেছি।

লরেন: ডেট করার শুরুতে একদম আবেগশূন্য ছিলাম। সেটা কি বুঝতে পেরেছিলে?

রব: যখন জিজ্ঞেস করতাম, সেক্সের ক্ষেত্রে তোমার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত কী- তুমি বলতে, পরমানন্দ ও মনের সংযোগ। আমি তোমার কথার প্রশংসা করতাম, যদিও আমার কাছে সেক্স বিষয়টি অনেকটাই শারীরিক।

লরেন: আমার ক্ষেত্রে সেক্স অনেক বেশি আবেগপূর্ণ সংযোগ তৈরি করে বলে মনে হয়। তোমার দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্য আলাদা। এ কারণে আমি এই আবেগপূর্ণ সংযোগ তৈরি করা নিয়ে তোমার চেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগি।

রব: আমারও তাই মনে হয়। সত্যি কথা বলতে কী- লরেন যখন আবেগ প্রকাশের সমস্যায় ভুগত, আমি তা ধরতে পারিনি।

লরেন: আমার তো মনে পড়ে না, জরুরি বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কখনও খোলাখুলি আলোচনা করেছি। কখনও বলেছি, ‘আমার এখন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, আমি সেক্স করতে চাই না’। তবে আমি কখন সেক্স করার মতো অবস্থায় নেই- রব সেটি খুব ভালো বুঝতে পারত।

আমার মধ্যে সব সময় লক্ষণ প্রকাশ পায় না। যে কারণে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রচুর সুযোগ পাওয়া যায়। আবার লক্ষণ প্রকাশের সময়েও যৌনতা আমাকে স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে। এটি চমত্কার তীব্র অনুভূতির জন্ম দেয়, যার ফলে হ্যালুসিনেশন বা অন্য সমস্যাগুলো অনুভবের অবকাশ থাকে না। আমি সবচেয়ে কাছের মানুষটির সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করি। যখন পরস্পরকে আলিঙ্গন করি বা চুম্বন শুরু করি তখন যেমনটি অনুভব হয়, তার ভিত্তিতেই আমি পরিস্থিতির ভালো-মন্দ বিচারে আগ্রহী।

রব: সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে আরও জানার পর আমার কিছুটা সন্দেহ হচ্ছিল। সংশয় হতো আমাদের সম্পর্কটি টিকবে কি না।

লরেন: ২০১৯ সালে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার পর লক্ষণগুলোও লুকানোর চেষ্টা করেছি। ওই বছরের অক্টোবরে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমার মনে হয় ঘটনাটি লুকানোর কারণে রব আমার ওপরে বিশ্বাস হারিয়েছিল। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়।

রব: ওই ঘটনার পর থেকে আমরা নিয়মিত ‘কাপল থেরাপিতে’ যাওয়া শুরু করি। আমাদের দুজনের আলাদা থেরাপিস্ট ছিলেন। এরপর আমরা বুঝতে পারি, একসঙ্গে অনেকটা পথ যেতে পারব। তবে সেই পথে অনেক দ্বন্দ্ব থাকবে।

লরেন: আমরা সচেতনভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে এবং স্থিতিশীল জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রাথমিক যুগল সম্পর্কের সময় সিজোফ্রেনিয়া জটিলতা তৈরি করলেও আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করিনি। এটা নিয়ে হয়তো গভীরভাবে কখনও আলোচনাই করিনি।

রব: যৌনজীবনের শুরুতে আমরা পরস্পরকে বোঝার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি। এটা নিয়ে এখনও আমরা কাজ করছি। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত অবস্থায় সঙ্গীর ‘সম্মতির’ বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগে থেরাপিস্টের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। লরেনের যখন লক্ষণগুলো প্রকট হয়, তখন আমরা সেক্স করি না। কিন্তু...

লরেন: এখানে ধূসর (অস্পষ্ট ) কিছু জায়গা আছে।

রব: কিছুদিন আগে একবার আমরা যৌনতার মধ্যে ছিলাম। একপর্যায়ে আমি থেমে গিয়ে বলি, ‘ঠিক বুঝতে পারছি না এ অবস্থায় সেক্স করা উচিত হচ্ছে কি না।’ তবে লরেন উত্তর দেয়, ‘না। আমি পুরো ঠিক আছি।’ আমি তখন তার কথা বিশ্বাস করেছি। তবে পরে সে আমাকে জানায়, ওই মুহূর্তে সে ঠিক সম্মতি দেয়ার অবস্থায় ছিল না।

লরেন: হ্যাঁ, এটি বেশ জটিল। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, সে সময়টিতে আমি সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, অথবা কী ঘটছে সেটিও পুরোপুরি বুঝতে পারি। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি, আমি জানতাম, কিন্তু... এটা আসলে কী তা ব্যাখ্যা করা কঠিন।

রব: তাহলে… আমাদের যৌনজীবনের অর্থটি কী দাঁড়াচ্ছে? তুমি জানো, এসব নিয়ে ভাবলে আমার মন খারাপ হয়।

লরেন: আমার মনে হয়েছে এটা আমার সমস্যা (হাসি)। সেক্স করতে চাইলে আমি নিশ্চয়ই রবকে বলব না যে আমার মাথায় তখন কী ঘটছে। কারণ, এতে তার এগিয়ে আসার প্রবণতাই কমে যাবে।

রব: এটা নিয়ে আমরা এখনও সমাধানে পৌঁছাইনি। এসব নিয়ে আরও কথা বলতে হবে।

লরেন: বিষয়টি এতটা সহজ নয়। কারণ, আমি যার মধ্যে দিয়ে যাই তার চরমতম রূপ হলো ওই ধূসর মুহূর্তগুলো। আমার মনে হয়, রব এমন একজন মানুষ, যাকে আমি সব সময়ই ভালোবাসি ও বিশ্বাস করি। এ জন্য সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলো প্রকট থাকার সময়েও তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে সম্মতি দিই। এমনকি বাস্তব সম্বন্ধে নিজের মস্তিষ্কে আলাদা কিছু ঘটে চললেও এই সম্মতি বজায় থাকে।

সম্পর্কের এমন অনেক অধ্যায় আছে যখন আমাদের যৌনতার মাত্রা এমনিতেই কমে যায়। বিশেষ করে সিজোফ্রেনিয়ার ওষুধ খাওয়ার সময়ে আমার যৌন চাহিদা একদম কমে যায়। আমাদের এখন তিনটি সন্তান, যাদের একজনের বয়স সাত মাস। সন্তানদের কারণেও আমাদের যৌনজীবনে বদল এসেছে।

রব: সন্তান থাকার পরেও আমরা যেভাবে যৌনজীবন ধরে রেখেছি তাতে আমি আনন্দিত। তবে যেভাবে আমরা যৌনতাকে সামলাচ্ছি, সেখানে থেকে উন্নতি ঘটানোর আরও সুযোগ রয়েছে।

লরেন: আমরা সব সময় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছি। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর