মানুষ সামাজিক প্রাণী। সামাজিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা পার্টিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। বিয়ে, জন্মদিন, পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মস্থলেও থাকে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে মেনে চলতে হয় কিছু আদবকেতা। নইলে ব্যক্তিত্বহানি ঘটতে পারে।
ডেলিশ ডটকমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই কিছু আদবকেতার বিষয়। চলুন জেনে নেয়া যাক-
নিজের উপস্থিতি বিষয়ে
অনেক অনুষ্ঠানেই অতিথির সংখ্যা হিসাব করে আয়োজন করা হয়। তাই কতজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে এবং কতজন থাকবে না এটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নিমন্ত্রিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজের উপস্থিতির ব্যাপারে আগে থেকেই নিমন্ত্রণকারীকে জানিয়ে দিন। কোনো সমস্যার কারণে যদি অনুষ্ঠানে না যেতে পারেন তাহলে সেটি আগেই জানাতে চেষ্টা করুন।
উপহার
যিনি অনুষ্ঠান বা পার্টির আয়োজন করেছেন তার জন্য উপহার নিয়ে যান। অনুষ্ঠানভেদে উপহার ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই সে বিষয়ে ধারণা রাখা ভালো। আয়োজক খুব কাছের কেউ না হলে, ব্যক্তিগত উপহার নেয়া উচিত নয়।
সময়জ্ঞান
অনুষ্ঠানে দেরি করে পৌঁছাবেন না। এতে আয়োজকসহ অন্যরাও বিরক্ত হতে পারেন। আপনার দেরির কারণে তৈরি হতে পারে সমস্যা। তাই সময়মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। তাই বলে, বেশি আগে গিয়েও উপস্থিত হবেন না। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
সাজপোশাক
পার্টি বা অনুষ্ঠান নির্দিষ্ট বিষয়কে ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়। সেখানে যাবার আগে এই বিষয়টি মাথায় রাখুন। যেকোনো সাজে পার্টিতে ঢুকে যাবেন না। যদি কোনো ড্রেসকোড দেয়া থাকে সেটি মেনে চলুন।
ভদ্রতা
অনুষ্ঠানের জন্য ভদ্রতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সাধারণ ভদ্রতা মেনে চলতে চেষ্টা করুন। যেমন: খাবার খেতে যাওয়ার সময় হুড়োহুড়ি করবেন না। রান্নাঘর বা আয়োজকের ব্যক্তিগত জায়গায় ঘোরাফেরা এড়িয়ে চলুন। খেয়াল রাখুন আপনার জন্য কারও সমস্যা হচ্ছে কি না। অনুমতি না নিয়ে নিজের সঙ্গে অনিমন্ত্রিত কাউকে নিয়ে যাবেন না। অনুষ্ঠান শেষে চলে আসার সময় নিমন্ত্রককে ধন্যবাদ দেয়াসহ কুশলাদি বিনিময় করে আসুন।