বয়স বাড়ার সঙ্গে চুলে পাক ধরা নিয়ে আমাদের আক্ষেপের শেষ নেই। উল্টোদিকে নিকষ কালো চুল নিয়েও গর্বিত অনেকে।
তবে সত্যিটি হলো, আমাদের চুলের প্রকৃত রং সাদা, অল্প বয়সে এই সাদা চুল টিকে থাকে কালোর ছদ্মবেশে। সুতরাং পাকা চুলে আক্ষেপের কিছু নেই, বরং ভাবতেই পারেন বয়স যত বাড়ছে ততই ধোঁকাবাজির জগত থেকে বেরিয়ে আসছেন আপনি!
চুলের রংয়ের ধোঁকাবাজি অনেক আগেই ধরা পড়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে।
তারা বলছেন, চুল কালোতে ঢেকে রাখে মেলানিন নামের এক ধরনের রঞ্জক, যা উৎপন্ন হয় মেলানোসাইট কোষ থেকে। এই মেলানিনের উপস্থিতির কারণেই চুল বা চোখের মনি কালো দেখায়। দেহের চামড়া বাদামি বা তামাটে হওয়ার কারণও এই মেলানিন।
বয়স বাড়লে চুলে কমতে থাকে মেলানিনের মাত্রা। আর তাই ধীরে ধীরে কালোর পরিবর্তে বেরিয়ে আসে আসল রং। একদম সাদা চুল মানেই এতে আর মেলানিনের ছিটেফোঁটা নেই।
তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকার হার বাড়লে মন খারাপের কিছু নেই। সাধারণ ভাবে মনে করা হয়, চুল পাকার মাত্রা বাড়তে থাকে ৩০ বছরের পর। এরপর প্রতি ১০ বছরে ২০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ে চুল পাকার হার। অবশ্য জিনগত কারণে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই হার আরও বেশি হতে পারে।
চুলে পাক ধরা ঠেকাতে বিভিন্ন কৌশল খোঁজেন অনেকে। তবে এতে খুব একটা কাজ হয় না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ধূসর বা সাদা চুলকে কালোতে ফেরানোর সম্ভাবনা বলতে গেলে শূন্য। পুষ্টির ঘাটতি এবং স্বাস্থ্যগত দুর্বলতার কারণে অনেকে অকালপক্ক হতে পারেন। এ ধরনের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করে চুল সাদা হওয়ার রাশ টানা সম্ভব। তবে জিনগত বা বয়সের কারণে সাদা হওয়া চুল আবার কালো রংয়ে ফেরানো অসম্ভব।
তাই বয়স হলে সাদা চুলকে মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি অন্যের চোখকে ধোঁকা দিতে চান আজীবন, তাহলে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কলপ তো আছেই।