নানা ব্যস্ততায় মাঝেমধ্যে দেখা যায়, অনেকেই ঠিক সময়ে খাওয়ার সুযোগ পান না। পরে বেশি ক্ষুধা লাগলে হাতের কাছে যা পান তা-ই খেয়ে কাজ চালিয়ে নেন। এটি একেবারেই অনুচিত।
কিছু খাবার আছে, যা খেলে হয়তো সাময়িকভাবে পেট ভরবে, কিন্তু এতে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে এমন কিছু খাবারের কথা জানানো হয়েছে। চলুন সেগুলো কী কী জেনে নেয়া যাক-
ফল
খালি পেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। ফল সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই ক্ষুধা লাগলে ফল খেয়ে ফেলেন। এতে ক্ষুধা তো মেটেই না, বরং আরও বেড়ে যায়। তাই ফলের পাশাপাশি সব সময় প্রোটিনজাতীয় কিছু খাওয়া উচিত। এর মধ্যে বাদাম, পিনাট বাটার, পনির বা যেকোনো কার্বোহাইড্রেট খেতে পারেন।
ঝাল খাবার
অনেক সময় দেখা যায়, স্বাভাবিক খাবার খেতে বিলম্ব হয়ে যায়। ফলে ক্ষুধা মেটানোর জন্য যেকোনো খাবারই খেয়ে ফেলেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ঝালজাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত।
কারণ ঝাল মুখরোচক হলেও এ ধরনের খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে। ঝালের জন্য যেসব মসলা ব্যবহার করা হয়, সেগুলো পাকস্থলীর আবরণের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই ঝাল খাওয়ার আগে অন্য কিছু খেয়ে নেয়া উচিত।
চা বা কফি
চা আর কফি ক্যাফেইনে পরিপূর্ণ থাকে, যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে। স্বাভাবিক ক্ষুধায়ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এ ধরনের পানীয়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে কফি পান করা অনুচিত। এ ক্ষেত্রে সালাদ, সিদ্ধ ডাল বা মুরগির মাংস খেতে পারেন। তবে মাংস কম মসলাদার হওয়াই ভালো।
চিপস বা বিস্কুট
অনেকের কিছুক্ষণ পর পরই হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে। তাই তারা ক্ষুধা লাগলেও চিপস বা বিস্কুটজাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন। এসব খাবার বেশিক্ষণ পেটে থাকে না।
কারণ খাবারগুলোতে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয়ে যায়। ফলে ক্ষুধা দ্রুত ফিরে আসে। এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ক্যালরি পাওয়া যায়- এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।