বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেঁয়াজের জুস কেন পান করবেন

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৫:৪২

হৃদরোগজনিত বেশিরভাগ সমস্যা (যেমন: স্ট্রোক ও হাইপারটেনশন) হয় মূলত স্থূলতার কারণে। আর এই স্থূলতার ফলে হৃদরোগজনিত যে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তা কমাতে সাহায্য করে পেঁয়াজের জুস।

খাবার বা সালাদে পেঁয়াজের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এটি অতুলনীয়। মসলা হিসেবে নিত্য ব্যবহৃত পেঁয়াজ যে জুস করে খাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকের অজানা।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট স্টাইল ক্রেজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেঁয়াজের জুস শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি একই সঙ্গে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধও।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পেঁয়াজে বিপুল পরিমাণে মিনারেল ও ভিটামিনের পাশাপাশি ফ্ল্যাভনয়েডস, পলিস্যাকারাইডস, স্টেরয়েড স্যাপোনিনস, এলিনস, এথোসিয়ানিনসসহ স্বাস্থ্যকর চিনি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। তাই চুল ও ত্বকের উপকারিতা ছাড়াও নানা রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পেঁয়াজ কাজ করে।

পেঁয়াজের জুস পানে বেশ কিছু সুফল পাওয়ার কথা জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি।

১. চুলের যত্নে

পেঁয়াজের জুসে প্রচুর সালফার থাকে, যা কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়। ইরাকের এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেঁয়াজের জুস নতুন চুল গজাতে সহায়তা করার পাশাপাশি অ্যালোপেসিয়া এরিয়াতা (আচমকা চুল পড়তে থাকা) রোধেও ভূমিকা রাখে।

সেই গবেষণায় আরও জানা যায়, যারা পেঁয়াজের জুস দিয়ে চুল ধুয়েছে, তাদের মাথায় নতুন চুল গজানোর মাত্রা বেশি। তা ছাড়া পেঁয়াজের জুস চুল আরও উজ্জ্বল করার পাশাপাশি মাথার তালুতে সংক্রমণ রোধে কাজ করে।

২. ওজন কমায়

পেঁয়াজ কোরেসটিন সমৃদ্ধ মসলা। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান লিপিড প্রোফাইল রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে। এ ছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন অন্তত ১০০ মিলিলিটার করে পেঁয়াজের জুস টানা আট সপ্তাহ খেলে বাড়তি মেদ ও বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে।

৩. ব্রণের সমস্যা দূর করে

ব্রণের সমস্যা দূর করতে পেঁয়াজ অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণায় দেখা যায়, পেঁয়াজের নির্যাস আছে এমন একটি জেল কয়েকজনকে ব্যবহার করতে দেয়ার পর দেখা যায়, তাদের ব্রণ দ্রুত শুকিয়ে গেছে। এমনকি ব্রণ থেকে তৈরি দাগ মিলিয়ে গেছে। পেঁয়াজে ক্ষতিকর অণুজীব ও ফাঙ্গাসবিরোধী উপাদান থাকে, যা এসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

হৃদরোগজনিত বেশিরভাগ সমস্যা (যেমন: স্ট্রোক ও হাইপারটেনশন) হয় মূলত স্থূলতার কারণে। আর এই স্থূলতার ফলে হৃদরোগজনিত যে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তা কমাতে সাহায্য করে পেঁয়াজের জুস। পেঁয়াজের জুস হোমোসিস্টাইনের মাত্রা কমাতেও সহায়ক, যা হৃদরোগের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

৫. চোখের সমস্যা

গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজে বিদ্যমান অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্ট্রেপটোকোকাস নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করে। চোখে ছানি পড়া ও ক্ষীণ দৃষ্টির মতো সমস্যা থেকেও রেহাই দেয় পেঁয়াজের জুস। চোখের নানা রকম সংক্রমণ রোধ করে।

৬. সর্দি-কাশি

সর্দি-কাশির মতো সাধারণ সমস্যাগুলোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও ঘরোয়া নিরাময় হলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রস ও মধুর মিশ্রণে তৈরি জুস শ্বাসযন্ত্রের ছোটখাটো সমস্যার থেকে সুরক্ষা দেয়। এ ছাড়া ব্রঙ্কাইটিস ও অস্বাভাবিক রক্ত জমা থেকেও বাঁচায়।

এ বিভাগের আরো খবর