শখের বসে হোক অথবা কাজের ক্ষেত্রে, মোটরবাইক যাতায়াতের অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম। যেকোনো জায়গায় দ্রুত ও সাশ্রয়ী উপায়ে পৌঁছাতে এর জুড়ি নেই। তবে রক্ষণাবেক্ষণের দিকে খেয়াল না রাখলে দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাবে আপনার প্রিয় বাইকটি।
কারণ মোটরবাইকের কিছু পার্টস খুবই সংবেদনশীল হয়। যা বিশেষ যত্ন না পেলে দ্রুত অকেজো হয়ে যায়। অনেকেই বুঝতে পারেন না কীভাবে বাইকের যত্ন নেবেন। ফলে মেকানিকের কাছে যেতে যেতে খরচ হয়ে যায় বাড়তি টাকা। স্টিড সাইকেলস-এর এক প্রতিবেদনে মোটরবাইক রক্ষণাবেক্ষণের কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায় জানা যায়। যা অনুসরণ করলে স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘদিন চালাতে পারবেন আপনার বাইক। চলুন জেনে নিই-
চেইন
বাইকের চেইন অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি পার্টস। অনেকেই চেইনের দিকে তেমন খেয়াল রাখেন না। এর অন্যতম কারণ সেটি সব সময় ঢাকা থাকে। চেইন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। কারণ এতে কাদামাটি এবং ধুলাবালি লেগে জ্যাম হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া খেয়াল রাখতে হবে, চেইন যেন বেশি ঢিলা কিংবা টাইট না থাকে। এতে অনেক সময় চেইন ছিঁড়ে যায়।
এয়ার ফিল্টার
বাইকের এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। একই এয়ার ফিল্টার বেশি দিন ব্যবহার করা উচিত না। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর তা বদলে ফেলা ভালো।
ব্যাটারি
ব্যাটারি বাইকের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। খেয়াল রাখতে হবে এটি পরিষ্কার আছে কি না। ব্যাটারিতে লিকেজ হলে দ্রুত বদলে ফেলতে হবে। নইলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার খুব বেশি চালানো হলে বাইকের ব্যাটারি চার্জ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
টায়ার
সব সময় দেখতে হবে, টায়ার কোন অবস্থায় আছে এবং এতে কতটুকু প্রেশার রয়েছে। ব্যাটারির স্টিল ব্যালেন্সিং নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। গ্রিপ নেই এমন টায়ার ব্যবহার করা বিপজ্জনক।
ক্লাচ
ক্লাচের অ্যাডজাস্টমেন্ট ঠিক আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে। ক্লাচ খুব বেশি টাইট রাখবেন না। এ ছাড়া বাইক চালানোর সময় বেশিক্ষণ ক্লাচ ধরে রাখা উচিত নয়।
ইঞ্জিন
ইঞ্জিন নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে। ইঞ্জিনের কার্বুরেটর আর ভাল্ব পরিষ্কার আছে কি না দেখতে হবে। এগুলো অপরিষ্কার রাখা বিপজ্জনক!
ইঞ্জিন অয়েল
সব সময় মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ ইঞ্জিন অয়েল যত ভালো হবে, ততই ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা বাড়বে। ইঞ্জিনের আয়ু বাড়াতে ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েলের বিকল্প নেই। নির্দিষ্ট সময় পার হলেই ইঞ্জিন অয়েল বদলাতে হবে।