সারা দিনের ক্লান্তি শেষে শরীরটাকে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত এবং কর্মক্ষম রাখার একমাত্র উপায় হলো রাতে পর্যাপ্ত ঘুম। একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তা না হলে কাজ এবং স্বাস্থ্য উভয় ক্ষেত্রেই খারাপ প্রভাব পড়ে।
অনেকেই রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। ঠিকমতো ঘুম না হওয়ায় ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেনেনডেন হেলথের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। ঘুমের আগে কিছু না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া এমন কিছু খাবার আছে যা ঘুমের আগে খাওয়া একেবারেই নিষেধ। চলুন জেনে নেই, সেগুলা কী কী।
চকলেট
ঘুমানোর আগে চকলেট খাবেন না। বিশেষ করে ডার্ক চকলেট। কারণ এসব চকলেটে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন আর অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের নিওরনগুলোকে উত্তেজিত রাখে। ফলে ঘুমের সমস্যা হয়।
কফি
কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই খাওয়া বন্ধ করে দিন। কফি সব সময় স্নায়ু উদ্দীপিত করে রাখে। যার প্রভাব থাকে প্রায় ৮ থেকে ১৪ ঘণ্টা। এ ছাড়া এটি ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট’ এর কারণ। ফলে শরীর ক্লান্ত থাকলেও ঘুম আসবে না।
পনির
পনির যদিও হালকা খাবার হিসেবে পরিচিত, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়ার জন্য সবচেয়ে নেতিবাচক খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ এতে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড আর টিরামিন থাকে, যা ঘুমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
মিষ্টিজাতীয় খাবার অ্যানার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়। ফলে চেষ্টা করলেও ঘুম আসে না। তাই ঘুমের আগে যেকোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
অ্যালকোহল
অনেকে মনে করেন অ্যালকোহল ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। এটি ভুল ধারণা। অ্যালকোহল ঘুমে ব্যাঘাতের পাশাপাশি মাথাব্যথাও সৃষ্টি করে। এ ছাড়া অতিরিক্ত অ্যালকোহল লিভার নষ্ট করে ফেলে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আইসক্রিম
আইসক্রিমে চিনি এবং ফ্যাট থাকে। ফ্যাট শরীরে অস্বস্তিভাব নিয়ে আসে। আর চিনি খেলে মস্তিষ্ক উত্তেজিত থাকে। দুটিই ঘুম তাড়াতে যথেষ্ট।
ঝাল
ঘুমের আগে অতিরিক্ত ঝাল কিছু খাবেন না। ঝাল দেয়া তরকারি, সস বা সরিষার তেল দিয়ে বানানো খাবার ঘুমানোর বেশ আগেই খেয়ে নিন। কারণ এসবে ক্যাপ্সাইসিন নামক এক ধরনের কেমিক্যাল থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ঘুমে সমস্যা তৈরি করে।