খাওয়ার পর দুপুরে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেয়া বাঙালির চিরাচরিত অভ্যাস। তবে অনেকেই মনে করেন, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা হলো, ভাতঘুম মানুষকে অলস ও স্থূল করে ফেলে। তবে ওয়েব এমডির এক প্রতিবেদনে জানা যায় ভিন্ন কথা। গবেষকরা বলছেন, দুপুরে ঘুমানোর রয়েছে নানা উপকারিতা। দুপুরে অল্প সময়ের ঘুম মানসিক এবং শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই জরুরি।
চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
গবেষণামতে জানা যায়, প্রখর স্মৃতিশক্তির জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুপুরের একটা ছোট ঘুম আপনার ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে করতে সাহায্য করবে এবং এর কার্যকারিতা পুরো রাত ঘুমানোর সমান। ভাতঘুম ভুলে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
গোছানো চিন্তাভাবনা
ভাতঘুম মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে শান্ত রাখে। এটা গুছিয়ে চিন্তা করতেও সহায়তা করে। গবেষকদের ভাষায় একে বলে কানেক্টিং দ্য ডটস। সহজ ভাষায় অগোছালো কোনো কিছু গোছানো এবং সে অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রে ভাতঘুমের অভ্যাস আছে এমন মানুষেরা বেশি এগিয়ে।
পদোন্নতি
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, ঘুমের সঙ্গে পদোন্নতির কী সম্পর্ক! সম্পর্ক আছে। যখন আপনি সকালে অফিসে এসে কাজ করতে শুরু করেন, তখন শরীর থাকে বেশি অ্যাক্টিভ। যা দুপুরের পর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের ওপর। দুপুরের কিছুক্ষণের ঘুম আপনাকে সেই অবসাদ ও ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়। ফলে কাজে পুরো মনোযোগ দেয়া যায়। আর মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে পদোন্নতি না হয়ে যাবে কোথায়।
মুড ঠিক করে
নানা কারণে মুড খারাপ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। গবেষণা বলছে, দিনের বেলার ঘুমে মানুষের চেহারা উজ্জ্বল হয়। শরীর হয় হালকা। পাশাপাশি চিন্তাভাবনায়ও ইতিবাচকতা আসে। ফলে মুড থাকে সতেজ।
কফি নয় ঘুম
অনেকেই ক্লান্তি এবং অবসাদ কাটাতে কফি পান করে থাকেন। ক্যাফেইন মস্তিষ্ক সজাগ করে তোলে। তবে এ ক্ষেত্রে কফির চেয়ে ঘুম বেশি কার্যকরী উপায়। এ ধরনের স্বল্প সময়ের ঘুমের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, যা কফিতে রয়েছে।