বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্তনে সংক্রমণ হলে যা করবেন

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:২৭

যে স্তনটি সংক্রমিত হয়েছে তা থেকে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি বাচ্চার কোনো ক্ষতি করে না, কারণ বাচ্চাদের হজম করার একটি রস থাকে, যা এসব ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়।

আজকাল নারীদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলো ব্রেস্ট ইনফেকশন বা স্তনে সংক্রমণ। এটি মূলত স্তনের টিস্যুতে এক ধরনের সংক্রমণ থেকে জন্ম নেয়। নারীদের সন্তান প্রসবের পর প্রথম ৩ মাসের ভেতর এটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

স্তনে সংক্রমণ হলে প্রথমত ব্যথা, ফোলা ও লালচে ভাব, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। নানা কারণে এটি হতে পারে। তবে মেডলাইন প্লাসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কিছু পদ্ধতিতে এটি এড়িয়ে চলা সম্ভব। চলুন উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক-

বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ না করা

যে স্তনটি সংক্রমিত হয়েছে, তা থেকে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি বাচ্চার কোনো ক্ষতি করে না, কারণ বাচ্চাদের হজম করার একটি রস থাকে, যা এসব ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। তবে দুধের প্রবাহ বাড়ানোর জন্য এবং অস্বস্তি দূর করতে দুধ খাওয়ানোর আগে ১৫ মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্তনের ওপর একটি গরম ভেজা কাপড় রাখুন।

ম্যাসাজ

আক্রান্ত স্তনটি ম্যাসাজ করুন। এতে স্তনের নালিগুলো অবরোধমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্যথা এবং ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করবে। নিয়মিত ক্যাস্টর বা অলিভ অয়েল দিয়ে আক্রান্ত স্থান এবং এর আশপাশে ম্যাসাজ করুন। পরে স্তনটি কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তবে দুধ খাওয়ানোর আগে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা জেলে ব্যথা উপশমকারী উপাদান আছে। এ ছাড়া এই জেল ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামত করা, স্ফীত বা শুষ্ক ত্বক নিরাময় করতেও সহায়তা করে। এই জেল সরাসরি আক্রান্ত স্তনে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ক্ষত সারার আগ পর্যন্ত নিয়মিত করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

বাঁধাকপি পাতা

ব্রেস্ট ইনফেকশনের মতো সমস্যা বাঁধাকপি পাতার সাহায্যে অনেকটাই দূর করা সম্ভব। এ পাতায় সালফার থাকে, যা আক্রান্ত স্তনের ফোলাভাব এবং জ্বালাপোড়া দূর করে। কয়েকটি বাঁধাকপি পাতা ৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। পরে একটি ঠান্ডা পাতা আক্রান্ত স্তনে চাপা দিয়ে রাখুন। পাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে একটি সরিয়ে নিয়ে আরেকটি পাতা আক্রান্ত স্থানে রাখুন। এভাবে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করা যায়।

গাঁদাফুল

গাঁদাফুলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি ব্রেস্টের ফোলাভাব এবং ব্যথা দূর করে। কয়েকটি গাঁদাফুলের সঙ্গে ৭ থেকে ১০ ফোঁটা কমফ্রে তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টটি হালকা গরম করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। পরে একটি গরম কাপড় দিয়ে মুছে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

সতর্কতা

এসবে অতিরিক্ত সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর