পুরো পৃথিবীতে অজস্র পাহাড় রয়েছে। সেসব পাহাড়ের রয়েছে আবার বহু বিচিত্র নাম। এর মধ্যে কিছু নাম হয় খুবই অদ্ভুত; আবার কিছু নিতান্ত হাস্যকর। তেমনই একটি পাহাড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিব আজ। এই ছোট্ট পাহাড়টি নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে অবস্থিত।বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়টির নাম “Taumatawhakatangihangakoauauotamateaturipukakapikimaungahoronukupokaiwhenuakitanatahu.”৮৫ বর্ণের নামটি এতই অদ্ভুত যে স্থানীয় বাসিন্দারাই এটি উচ্চারণ করতে পারে না। আর সে কারণেই তারা নামটিকে নিজেদের মতো সংক্ষিপ্ত করে নিয়েছে। স্থানীয়রা এটিকে ডাকে টাউমাটা নামে।ইতিমধ্যে দীর্ঘ নাম হিসেবে পাহাড়টির নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে উঠে গেছে। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে এমন অদ্ভুত নাম পেল কোথায়? পাহাড়টির এমন নাম হয়েছে আসলে স্থানীয় এক যোদ্ধার নামানুসারে। তবে তার নামও কিন্তু এত বড় ছিল না। তার নাম ছিল টামাটিয়া। জনশ্রুতি আছে, এই যোদ্ধার ভাই অন্য আরেকটি আধিবাসী গোত্রের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন। ভাইয়ের মৃত্যুতে টামাটিয়া মনের দুঃখে এই পাহাড়ে এসে দিন-রাত কেবল বাঁশি বাজাতেন।
এই ঘটনা দেখে তার নিজের গোত্র ‘মাওরির’ লোকেরা ভাবল, এই দুই ভাইয়ের সম্মানে পাহাড়টির একটি নাম দেয়া যাক। সেখান থেকেই এ রকম উদ্ভট নামের উৎপত্তি। নামটির অনুবাদ করলে দাঁড়ায়- “এটি সেই চূড়া, যেখানে টামাটিয়া; এমন এক ব্যক্তি, যার হাঁটু ছিল অনেক বড়, যে ছিল বীর যোদ্ধা, পাহাড়ে আরোহণ করত এবং ভ্রমণকারী; আর যে তার প্রিয়জনের জন্য এখানে বসে নাকের বাঁশি বাজাত।"স্থানীয় অনেকেই এই নামে সন্তুষ্ট নয়। তাদের মনে এই নামের মাধ্যমে টামাটিয়ার পরিচয়টি ঠিকভাবে ফুটে ওঠেনি। সে কারণে তারা এই পাহাড়টিকে ১০৫ বর্ণের অন্য আরেকটি নামে ডাকে। সেটি হলো- “Taumata-whakatangihanga-koauau-o-Tamatea-haumai-tawhiti-ure-haea-turi-pukaka-piki-maunga-horo-nuku-pokai-whenua-ki-tana-tahu.” এটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়- “সে এখানে এসেছিল অনেক দূর থেকে, যার ছিল একটি চেরা লিঙ্গ, পাহাড়ে চড়তে গিয়ে যে তার হাঁটু কেটে ফেলেছিল, গড়িয়ে গড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর মাটিতে- তার প্রিয়জনের জন্য।”