বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শরীর সুস্থ রাখতে সাইকেলে চড়ুন

  •    
  • ২০ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৫০

দুই চাকার বাহন হওয়ায় সাইকেল পুরোপুরি ব্যালেন্স-নির্ভর। প্রতিদিন চালানোর ফলে শরীরে ব্যালেন্সিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে এটি হাই-ফোবিয়া আক্রান্তদের জন্যও কার্যকর।

শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা আবার নিয়মিত হাঁটার কথাও বলেন। তবে অনেকেই ব্যস্ততার কারণে ব্যায়াম কিংবা হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এ ক্ষেত্রে উপায় কী? উপায় হলো সাইকেল চালানো। বেটার হেলথ ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিয়মিত সাইকেল চালানো শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই দরকারি। চলুন জেনে নেই, সাইকেল চালালে কী কী উপকার হয়।

মাসল ওয়ার্কআউট

মজবুত পেশি গঠনে সাইকেল চালানোর জুড়ি নেই। নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে পায়ে পেশির ওপর চাপ পড়ে। ধীরে ধীরে নীতম্ব ও পায়ের পেশি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যাদের হাঁটতে সমস্যা হয় তারাও ব্যায়ামের জন্য সাইকেল চালাতে পারেন।

মেদ ঝরাতে

দৈনিক এক ঘণ্টা সাইকেল চালানোর ফলে শরীরের প্রায় ৫০০ ক্যালরি বার্ন হয়। অনেকেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, তারা মেদ ঝরাতে সাইকেল চালাতে পারেন।

নিরাপদ

বেটার হেলথ ম্যাগাজিন থেকে জানা যায়, গবেষণা মতে সাইকেল চালানো অন্যান্য ব্যায়ামের চেয়ে বেশি নিরাপদ। সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে খুব কমই দুর্ঘটনা ঘটে।

ব্যালেন্সিং

দুই চাকার বাহন হওয়ায় সাইকেল পুরোপুরি ব্যালেন্স-নির্ভর। প্রতিদিন চালানোর ফলে শরীরে ব্যালেন্সিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে এটি হাই-ফোবিয়া আক্রান্তদের জন্যও কার্যকর।

রোগ প্রতিরোধ

সাইকেল চালানো শুধু পায়ের ব্যায়াম নয়। এটি পুরো শরীরের ব্যায়াম। এতে নিয়মিত ক্যালরি বার্ন হতে থাকে, ফলে শরীরে মেদ জমতে পারে না। এ কারণে ওবেসিটি ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দূরে থাকে। চিকিৎসকরা হার্টের সুস্থতার জন্যও সাইকেল চালাতে বলেন।

ঘুমের সমস্যা দূর হয়

সাইকেল চালাতে পরিশ্রম করতে হয়। এতে শরীরে ক্লান্তি আসে। ফলে দিনশেষে ভালো ঘুম হয়। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা সাইকেল চালাতে পারেন। অবসাদ কাটাতেও সাইকেল চালানো যেতে পারে।

সময়

ঢাকা শহর মানেই যানজট। বাস বা অন্যান্য গাড়িতে চড়ার কারণে দীর্ঘ সময় যানজটের ফলে নষ্ট হয়ে যায়। সাইকেল আকারে ছোটো বাহন হওয়ায় এতে যানজটের সমস্যা নেই। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে সাইকেলে চড়ুন। এতে খরচও বাঁচে।

মানসিক চাপমুক্তি

সাইকেল চালানোর সময় শরীর মুক্ত বাতাসের ছোঁয়া পায়। খোলা পরিবেশে চলাচলের ফলে শুধু শরীরই ভালো থাকে না, পাশাপাশি মানসিক চাপও কমে এবং মস্তিষ্ক পরিষ্কার থাকে।

পরিবেশ রক্ষা

সাইকেল চলে কায়িক শ্রমে। এটি চালাতে কোনো তেল-গ্যাস বা ডিজেল-পেট্রল লাগে না। তাই এর দ্বারা পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

এ বিভাগের আরো খবর