চিরকাল ধরে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসলেও গোলাপের রয়েছে আরও গুণ। প্রিয় মানুষকে খুশি করা এবং মন প্রফুল্ল রাখার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারে গোলাপের জুড়ি নেই।
অনেকেই হয়তো শুকিয়ে যাওয়ামাত্র গোলাপ ফুল ফেলে দেন। তবে ইন্ডিগো হার্বস থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ঔষধি হিসেবেও গোলাপকে কাজে লাগানো যায়। ফুলটির কয়েকটি গুণ সম্পর্কে জানা যাক।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে কিছু গোলাপের পাপড়ি ছেড়ে দিন। পানি গোলাপি রং ধারণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ওই পানিতে মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
গোলাপের পাপড়িতে থাকা যৌগ মেটাবলিজম বাড়ায়। এতে শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ অকার্যকর হয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ধীরে ধীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া এই পানীয় সেন্স উন্নত করে, বিধায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে আগ্রহ কমে যায়।
ত্বকের যত্ন
নিয়মিত গোলাপের পাপড়ি মুখে ঘষলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। এই ফুলের রসে যেসব উপাদান থাকে সেগুলো ত্বক সতেজ রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া গোলাপজল চেহারার তৈলাক্তভাব দূর করে ত্বককে মোলায়েম রাখে এবং ব্রণ দূর করে। মানসিক দুশ্চিন্তার ফলে চেহারায় পড়া ছাপ মুছতেও গোলাপের রস উপকারী।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি
বেশির ভাগ সময় ডিপ্রেশন বা বিভিন্ন মানসিক চাপে থাকে মানুষ। অনিদ্রা ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে এমন হতে পারে। এসব সমস্যা সমাধানে গোলাপের পাপড়ি এবং নির্যাস খুব কার্যকর। কেননা এর ঘ্রাণ মন রাখে শান্ত ও ফুরফুরে। এ ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ঘ্রাণ নেয়ার পাশাপাশি গরম পানিতে গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে গোসল করতে পারেন।
হজমশক্তি
গোলাপের পাপড়িতে যেসব ফাইবার থাকে সেগুলো হজমশক্তি বাড়ায়। হজমের সমস্যা থাকলে, তিন থেকে চার দিন খালি পেটে গোলাপের পাপড়ি এবং পানি দিয়ে তৈরি পেস্ট খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এই পেস্ট খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও স্বস্তি মিলবে।
যৌন ক্ষমতা বাড়ায়
গোলাপফুল যৌন ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে। প্রতিদিন কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি খেলে মানসিক শক্তি ও সতেজতা বৃদ্ধি পায়। এতে শরীরের নার্ভস সিস্টেম ঠিকভাবে পরিচালিত হয়। ফলে যৌন সক্রিয়তা বাড়ে।