বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন ভালো করতে চিৎকার করুন

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:১২

চিৎকার করার আরও অনেক উপকার আছে। এতে হৃদযন্ত্রও ভালো থাকে। অনেক ডাক্তার বাচ্চাদের কাঁদানোর পরামর্শ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। তাদের মতে এর ফলে বাচ্চাদের হার্টের জোর বাড়ে।

পৃথিবীর সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি হলো মন ভালো না থাকা। কারণে-অকারণে মানুষের মন খারাপ হয়। অনেকেই মন ভালো করতে নানা কিছু করেন। গান শোনা, মুভি দেখা, ঘুরতে যাওয়া, প্রিয় খাবার খাওয়ার মতো কাজগুলো করে চেষ্টা করেন মন খারাপ দূর করতে।

সম্প্রতি মনোবিজ্ঞানীরা মন ভালো করার নতুন একটি পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন। এই পদ্ধতি অনুসারে চিৎকার করলে ভালো হয়ে যাবে মন। এই পদ্ধতির নাম ‘স্ক্রিম থেরাপি’। শেইপ ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই থেরাপির কথা। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।

স্ক্রিম থেরাপি

স্ক্রিম থেরাপি এত জটিল কিছু নয়। কেবল মনের সুখে চিৎকার করতে হবে। এতে মনের যেসব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আছে যেমন- রাগ, দুঃখ, অভিমান ইত্যাদি হালকা হয়ে যাবে। ফলে মন হবে শান্ত।

এভাবে চিৎকার করার আরও অনেক উপকার আছে। এতে হৃদযন্ত্রও ভালো থাকে। অনেক ডাক্তার বাচ্চাদের কাঁদানোর পরামর্শ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। তাদের মতে এর ফলে বাচ্চাদের হার্টের জোর বাড়ে।

তবে দুঃখ কিংবা যন্ত্রণাতেই চিৎকার করতে হবে এমন নয়। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিনা কারণেও চিৎকার করা যেতে পারে। সে জন্য ভূতের সিনেমা দেখারও পরামর্শ দেন অনেক গবেষক। কারণ অনেকেই ভূতের সিনেমা দেখার সময় ভয়ে কেঁপে ওঠেন এবং চিৎকার করেন। এই চিৎকারের সঙ্গে মনের গভীরে জমে থাকা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

বর্তমান সময়ে মানুষকে এমন পরিস্থিতিতে বাস করতে হয় যে, তাদের আবেগ প্রকাশ করার সুযোগ খুব কমই থাকে। এতে কিন্তু মানুষের মন থেকে আবেগ চলে যায় না। বরং ধীরে ধীরে সেসব আবেগ জমা হতে হতে মন ভারী করে ফেলে। বাড়তে থাকে নানা ক্ষতির আশঙ্কা।

এই আবেগের বোঝা থেকে হালকা হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো চিৎকার করা। তাই যখনই সুযোগ পাবেন চিৎকার করুন। আবেগের বোঝা বাড়তে দেয়া মানে নিজের ক্ষতি করা। তবে চিৎকারের সময় শব্দদূষণের দিকটি খেয়াল রাখুন। আবেগের বহিঃপ্রকাশ যেন অন্যের সমস্যার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

এ বিভাগের আরো খবর