অনেকেই মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। কথা বলার সময় কিংবা নিঃশ্বাসের সঙ্গে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে। মুখ ও শরীরের ভেতরের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এটি হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো- সাইনোসাইটিস, ক্রমাগত পোস্ট নেজাল ড্রিপ, ক্রনিক এসিড রিফ্ল্যাক্স, লিভার ও কিডনির সমস্যা ইত্যাদি।
চাইলে সহজেই এই সমস্যা দূর করা যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক-
মৌরি
মৌরিতে যে তেল ও ফাইবার থাকে, তা রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এ ছাড়া এটি শ্বাসের গন্ধ দূর করে মুখের ভেতর মিষ্টি এক ধরনের ঘ্রাণ ছড়িয়ে দেয়। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বলেও বিবেচিত। সব সময় খাওয়ার পর শুকনা ও ভাজা মৌরি খেলে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়।
লেবুর খোসা
লেবুর খোসা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে রেখে দিন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো কাগজি বা কমলা লেবু। তবে পাতি লেবুর খোসাও ব্যবহার করা যায়। মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে বুঝতে পারলে শুকনা লেবুর খোসা চিবান। এতে দুর্গন্ধ থাকবে না।
ডেঞ্চার
যারা ডেঞ্চার (নকল দাঁত) ব্যবহার করেন, তারা অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ডেঞ্চার খুলে রাখবেন। খোলার পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তা না হলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাবে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে।
লবঙ্গ
মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অন্যতম কার্যকর উপাদান হলো লবঙ্গ। লবঙ্গে ‘ইউজেনল’ নামের একটি যৌগ থাকে, যা এর সুগন্ধের মূল কারণ। এই যৌগটি জীবাণু ও ব্যথানাশক হিসেবেও কাজ করে। নিঃশ্বাস সব সময় তরতাজা রাখতে মুখে লবঙ্গ রাখুন।
দাঁত মাজা
প্রতিদিন অন্তত দুইবেলা দাঁত মাজুন। এ ছাড়াও দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারকণা পরিষ্কার করতে খাবারের পর ফ্লস ব্যবহার করুন। জীবাণু ধ্বংসে মাউথওয়াশও বেশ কার্যকর। ঘুম থেকে ওঠার পর জিব্বা পরিষ্কার করুন।
সতর্কতা: এসবের পরও যদি বুঝতে পারেন দুর্গন্ধ যাচ্ছে না, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।