বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ হাজার কিমি পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত পেঙ্গুইনটি

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:২৯

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে পরিবার নিয়ে থাকি। সেদিন দিনভর কাজ শেষে আমি ও আমার স্ত্রী সৈকতে হাঁটছিলাম। দেখি তীর ঘেঁষে তুলতুলে কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে। একটু কাছে যেতেই সেটি মাথা নাড়ায়। তখন বুঝতে পারি এটি জীবন্ত একটা পেঙ্গুইন। এক ঘণ্টার মতো পেঙ্গুইনটি নড়াচড়া করছিল না। মনে হচ্ছিল সে দলছুট, বড্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’

অ্যান্টার্কটিকার এক অ্যাডেলি পেঙ্গুইনের দেখা মিলেছে নিউজিল্যান্ড উপকূলে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরের এই পাখিটিকে যখন আবিষ্কার করা হয়, তখন সেটিকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।

উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা হ্যারি সিং যখন পেঙ্গুইনটি প্রথমবার দেখেন, তার মনে হয়েছিল এটি হয়তো কোনো খেলনা। কাছে গেলে তার ভুল ভাঙে। বুঝতে পারেন এটি জীবন্ত একটি পেঙ্গুইন।

বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেন, ‘ ক্রাইস্টচার্চে পরিবার নিয়ে থাকি। সেদিন দিনভর কাজ শেষে আমি ও আমার স্ত্রী সৈকতে হাঁটছিলাম। দেখি তীর ঘেঁষে তুলতুলে কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে। একটু কাছে যেতেই সেটি মাথা নাড়ায়। তখন বুঝতে পারি এটি জীবন্ত একটা পেঙ্গুইন।

‘এক ঘণ্টার মতো পেঙ্গুইনটি নড়াচড়া করছিল না। মনে হচ্ছিল সে দলছুট, বড্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।’

ফেসবুকে হ্যারি পেঙ্গুইনটির কিছু ভিডিও পোস্ট করেন। যোগাযোগ করেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গে। আর সেই সময়টা হ্যারি দম্পতি পেঙ্গুইনটিকে নজরে রাখছিলেন, যেন সে অন্য কোনো প্রাণীর শিকারে পরিণত না হয়।

নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডে পেঙ্গুইনদের পুনর্বাসন নিয়ে ১০ বছর ধরে কাজ করছেন টমাস স্ট্র্যাক। তিনিই প্রথম এটিকে বিরল অ্যাডেলি প্রজাতির পেঙ্গুইন বলে চিহ্নিত করেন। জানান, কেবল অ্যান্টার্কটিকাতেই এ প্রজাতির দেখা মেলে।

ওজন কম ও পানিশূন্যতায় ভুগছিল

উদ্ধারকারীরা পেঙ্গুইনটির রক্ত পরীক্ষা করেন। দেখেন স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন বেশ কম, পানিশূন্যতায় ভুগছিল এটি। পরে টিউবের মাধ্যমে খাবার খাওয়ানো হয় পেঙ্গুইনটিকে। শিগগিরই এটিকে ব্যাঙ্কস উপদ্বীপের সৈকতে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নিউজিল্যান্ড উপকূলে এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের দেখা এর আগে দুবার মিলেছিল। ১৯৬২ সালের পর ১৯৯৩ সালে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল অ্যাডেলি প্রজাতির আরেকটি পেঙ্গুইনকে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, সমুদ্রে বড় ধরনের কিছু পরিবর্তন হচ্ছে, যা আমাদের বোঝা উচিত।

ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ সিডন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘পেঙ্গুইন নিয়ে আমাদের আরও গবেষণা দরকার। তারা কোথায় যায়, কী করে, কী ধরনের পরিবেশ পছন্দ করে… এসব জানা প্রয়োজন। হয়তো তারা সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে আমাদের কিছু জানাতে চাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর