ভেষজ হিসেবে আমলকীর জনপ্রিয়তা বহুদিনের। ফলটির রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা না থাকলেও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ডায়েটারি ফাইভার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ক্যারোটিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। সে কারণেই আমলকীর আছে নানান উপকারিতা। চলুন সেগুলো জেনে নেই-
চুল পরিচর্যার ক্ষেত্রে আমলকীর জুড়ি নেই। চুলের গোড়া মজবুত করা ছাড়াও এটি চুলের বৃদ্ধি এবং খুসকির সমস্যা দূর করে। দূর করে চুল পাকার সমস্যা।
ভিটামিন সি-এর অভাব পূরণ করে আমলকী। এর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। এ ছাড়াও পেটের সমস্যা বিশেষ করে বদহজম থেকে মুক্তি দেয় আমলকী।
অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে এক গ্লাস দুধ অথবা পানির সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া ও চিনি মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
সর্দি-কাশি, লিউকেরিয়া ও স্কার্ভির মতো রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমলকী খেতে পারেন।
প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও উজ্জ্বলতা বাড়বে।
আমলকীতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোসহ চোখকে প্রদাহ, চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
প্রতিদিন আমলকী খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং মাড়ি সুস্থ থাকে।
আমলকীর টক ও তেতো স্বাদ মুখের রুচি বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে আমলকী খেতে পারেন।
আমলকী খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া বুক ধড়ফড়ের সমস্যা থাকলে আমলকী খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরানোর পাশাপাশি আমলকী শরীর ঠান্ডা রাখে, পেশি মজবুত করে ও তার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।