মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বসতবাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার শঙ্খিনী সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
পাঁচ ফুট লম্বা সাপটিকে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিলকপুর এলাকার মুকন্দ রায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার বাড়ির উঠানের একটি ফুলগাছের ঝোপে সাপটিকে দেখতে পান। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন সাপটিকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়ায় বন্য প্রাণী রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যান।
নিউরো টক্সিনধারী শঙ্খিনীকে এলাকাবিশেষে নানা নামে ডাকা হয়। কোথাও এটি শাখামুটি আবার কোথাও দুই মাথা সাপ নামে পরিচিত।
শঙ্খিনীর ইংরেজি নাম ব্যান্ডেড ক্রেট (Banded Krait)। এর বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus। এই সাপদের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হতে পারে ৬ থেকে ৭ ফুট।
বিষধর কিন্তু নিরীহ সাপটির বেশি দেখা মেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে। দেশের বাইরে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, লাওস, ম্যাকাও, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এদের দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শঙ্খিনী বর্ষায় ডিম দেয় এবং বাচ্চা তোলে। স্ত্রী সাপ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৪ থেকে ১৪টি ডিম দিয়ে পরিস্ফুটন পর্যন্ত অপেক্ষা করে। ডিমের পরিস্ফুটনের জন্য সময় লাগে ৬১ দিন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য সাপের মতো এই সাপও কমছে মূলত দুটি কারণে। মানুষ নির্বিচারে সাপ হত্যা করছে; দ্বিতীয়টি মানুষের কারণে এদের বাসস্থান দ্রুত বিপন্ন হচ্ছে।’