মানুষের শরীর বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এমন কোনো খোলা লাইনের সংস্পর্শে এলে মানবদেহে বিদ্যুতায়ন হয়। সহজভাবে একে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া বলে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে কিছু করণীয় থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো।
কোনো ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে সরাসরি তার গায়ে হাত দেবেন না।
যত দ্রুত সম্ভব মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।
সুইচ বন্ধ করা সম্ভব না গেলে শুকনা খবরের কাগজ, উলের কাপড়, কাঠের টুকরা অথবা রাবার দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে বিদ্যুতের উৎস থেকে ধাক্কা দিয়ে আলাদা করার চেষ্টা করুন।
যদি ধাক্কা কিংবা সুইচ বন্ধ করাও সম্ভব না হয়, তবে দ্রুত বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির আশপাশে পানির উৎস থাকলে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলুন।
উৎস থেকে আলাদা করার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির গলা, বুক ও কোমরের কাপড় ঢিলা করে দিন।
যদি মনে হয় আক্রান্ত ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড কাজ করছে না, তখন দ্রুত তার বুকের ওপর জোরে জোরে চাপ দিয়ে হৃৎপিণ্ড চালু করতে চেষ্টা করুন। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে সিপিআর।
শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব না হয় ততক্ষণ এটা করতে হবে।প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
সতর্কতা
ভেজা হাতে কখনও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ধরবেন না।
ভেজা জায়গায় খালি পায়ে দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের কাজ করবেন না।
বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় অবশ্যই স্পঞ্জ বা রাবারের জুতা পরে নিন।
সবচেয়ে ভালো হয় মেইন সুইচ বন্ধ করে বৈদ্যুতিক কাজ করলে।