হাঁচি কেন হয়
হাঁচি মানবশরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে স্টারন্যুটেশন বলে।
বিভিন্ন কারণে নাকের ভেতরের মিউকাস মেমব্রেন উত্তেজিত হতে পারে। ফলে বুকের পেশি এবং পেটের ডায়াফ্রাম সংকুচিত হয়। তখন নাক ও মুখ দিয়ে তীব্র বেগে বাতাস বেরিয়ে যায়।
এই বাতাসের সঙ্গে একপ্রকার জলীয় বাষ্পও যুক্ত থাকে। বাতাস এবং জলীয় বাষ্পের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকেই হাঁচি বলে।
হাঁচি দেয়ার সময় নাক, মুখ, বুকের হাড়, ফুসফুস, ডায়াফ্রাম, চোখ, নার্ভাস সিস্টেম এবং মস্তিষ্ক সব একসঙ্গে কাজ করে।
হাঁচির বেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ মাইল। একবার হাঁচি দিলে যে বাতাস বের হয় তাতে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ জীবাণুযুক্ত ড্রপলেটস থাকতে পারে।
কেন নাক-মুখ চেপে ধরা উচিত নয়
সাধারণত হাঁচি আসার কোনো পূর্বাভাস থাকে না। ফলে আচমকা হাঁচি চলে এলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। আর বিব্রত অবস্থা থেকে বাঁচতে হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে ধরেন। কিন্তু এটি খুবই বিপজ্জনক। কেন বিপজ্জনক, চলুন জেনে নেয়া যাক।
হাঁচি-কাশির সময় অনেক জীবাণু বের হয়ে আসে। তাই এ সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা ভালো। তবে নাক-মুখ ঢাকা মানে চেপে ধরা নয়। কারণ হাঁচি দেয়ার সময় ভেতর থেকে নির্গত বাতাসের গতিবেগ।
চিকিৎসকদের মতে, হাঁচির সময় বেরিয়ে আসা বাতাস নাক-মুখ চেপে ধরার ফলে ভেতরেই থেকে যায়। যা তাৎক্ষণিকভাবে কানের পর্দায় গিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া এই বাতাসের চাপ ফুসফুস ও খাদ্যনালিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা বড়সড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাই চিকিৎসকরা মনে করেন, হাঁচি দেয়ার সময় নাক-মুখ পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। রুমাল, নরম কাপড় অথবা টিস্যু পেপার দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে। এতে যেমন জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে না, তেমন নিজেকেও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যায়।