বিশ্বে ২৫০ প্রজাতির প্যাঁচা আছে। বাংলাদেশে রয়েছে ১৮টি প্রজাতির। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ মিলেছে নতুন প্রজাতির এক প্যাঁচার।
আর এই আবিষ্কারের মূলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আমিনুজ্জামান মো. সালেহ রেজা। তার দাবি, এটি একটি নতুন প্রজাতির প্যাঁচা।
তবে এই প্যাঁচাটি অন্যদের থেকে একটু আলাদা। আকারে ছোট। এর পাখায় বাদামি রঙের কিছু কারুকাজ রয়েছে, যা তাকে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
প্যাঁচাটির বৈজ্ঞানিক নাম Glaucidium radiatum; ইংরেজি নাম Jungle Owlet। এর কোনো বাংলা নাম নেই। সম্প্রতি এটি বাংলাদেশের নতুন পাখি হিসেবে আবিষ্কৃত হয়েছে।
অধ্যাপক আমিনুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি সকালে আমি হাঁটতে বের হই। হাঁটার সময় আমার সঙ্গে ক্যামেরা থাকে। ১৩ অক্টোবর হাঁটতে হাঁটতে ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে একটি আমগাছ থেকে পাখির ডাক শুনলাম। যা আমি কখনো আগে শুনিনি।
‘পাখিটিকে দেখামাত্র দুটি ছবি নিলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এই পাখি আমি আগে কখনো দেখিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাখিটি খুব উচ্চ স্বরে ডাকছিল। তবে ডাকটা খুব মিষ্টি। নতুন পাখি দেখার আনন্দে বাসায় এসে যে ছবিগুলো তুলেছিলাম তা অভিজ্ঞদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। পাখির ডাক সংগ্রহ করে আমার শোনা ডাকের সঙ্গে মেলাই।
‘দুই সপ্তাহ পর নিশ্চিত হলাম এটি বাংলাদেশের নতুন পাখি। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। আমি প্রথমবার দেশে এই প্রজাতির প্যাঁচা দেখলাম। এর নাম জঙ্গল আউলেট। এই পাখির এখনো বাংলা নাম দেয়া হয়নি বা নেই।’
এটি বাংলাদেশে নতুন প্যাঁচা বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম দেখা গেছে। তবে এই প্যাঁচার সঙ্গে কিছুটা মিল আছে এশীয়-দাগি প্যাঁচার। এই প্যাঁচা সাধারণত সিলেট অঞ্চলে দেখা যায়।’
‘নতুন প্যাঁচা পাওয়া অবশ্যই খুব ভালো খবর। তবে এটি অতিথি নাকি আমাদের এখানে অবস্থান করছে এবং বংশবিস্তার করছে কি না, তা জানতে অবশ্যই গবেষণার প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৮ প্রজাতির প্যাঁচা আছে। এখন নতুন প্রজাতির সংযোজনের ফলে ১৯টিতে পৌঁছাল।’