বাচ্চা হোক আর প্রাপ্তবয়স্ক, সবার জন্যই পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। তবে বাচ্চারা সব সময়ই একটু নাজুক। তাই তাদের ব্যাপারে চিন্তাও থাকে বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হিসাবটা অন্যরকম।
সাধারণত একটা বাচ্চার শরীরের ৭৫ ভাগ পানি থাকে। অবশ্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়। অর্থাৎ তখন পরিমাণটি দাঁড়ায় ৬০ ভাগে।
আমাদের দেশে বাচ্চাদের দিনে ১.১ লিটার থেকে ১.৩ লিটার পানি পান করলেই চলে। এটি ৪ থেকে ৮ বছরের বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য। ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়ে বাচ্চাদের ১.৩ থেকে ১.৫ লিটার এবং একই বয়সী ছেলেদের ১.৫ লিটার থেকে ১.৭ লিটার পানি পান করতে হবে। অন্য দেশে জলবায়ুর কারণে এ নিয়মটা পাল্টে যাবে।
অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা পানি পান করতে চায় না। সে ক্ষেত্রে দুধ, ডাবের পানি, ফলের রসজাতীয় তরল পানীয় দেয়া যেতে পারে। কেননা আসল উদ্দেশ্য বাচ্চাটির শরীরে তরল পদার্থ প্রবেশ করানো।
পানির অভাবে বাচ্চাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। পড়াশোনাসহ যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফাটতে শুরু করার পাশাপাশি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খেয়াল রাখা জরুরি, বাচ্চাকে জোর করে যেন পানি পান করানো না হয়। এতে পানির প্রতি অরুচি ধরে যায়।
বাচ্চারা একসঙ্গে বেশি পানি পান করতে পারে না। তাই সারা দিনে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করাতে হবে। ঘুম থেকে ওঠার পর, ঘুমাতে যাওয়ার আগে, স্কুল থেকে ফেরার পর, বিকেলে খেলতে যাওয়ার আগে ও পরে পানি পান করানোর চেষ্টা করুন।
মনে রাখতে হবে, পানি শরীরের জন্য জরুরি হলেও অতিরিক্ত পানি পান করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত পানি খেলে কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। তাই আপনার শিশুকে পারিমাণ মতো পানি পান করান।
সূত্র: হেলদি চিল্ড্রেন