প্রতিদিন ব্রাশ করার পরও অনেকেই দাঁতের সমস্যায় ভোগেন। এর মূল কারণ হচ্ছে– সঠিকভাবে ব্রাশ করতে না পারা এবং না জানা। দাঁত ব্রাশ করারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আসুন জেনে নিই সেগুলো।
নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। ব্রাশ ভিজিয়ে তাতে টুথপেস্ট লাগান। ফ্লোরাইড টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো। এটি ক্যাভিটি থেকে রক্ষা করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। তবে বেশিমাত্রায় টুথপেস্ট ব্যবহার না করাই ভালো। অল্প টুথপেস্ট ব্যবহার করলেই উপকার পাওয়া যায়।
৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ব্রাশ রেখে ওপরের পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে করে দাঁত মাজলে বেশি উপকার পাবেন।
ছোট ছোট বৃত্তের আকারে ব্রাশ করতে হবে। দাঁতের ভেতরের দিকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে বৃত্তাকার আকারে আলতো করে ব্রাশ করতে হবে। এভাবে ২ মিনিট ব্রাশ করুন।
দাঁতের পেছনের দিক বা আপার মোলারে, মুখের একপাশে ব্রাশ করুন। একটি দিক হয়ে গেলে মুখের অন্যদিকেও একইভাবে ব্রাশ করুন। দাঁতের সামনের দিকের পাশাপাশি পেছনের দিকটাও সমানভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
দাঁতের ভেতরে ব্রাশ করতে হবে। অনেকেই ব্রাশ করার সময় দাঁতের সামনের দিকটা শুধু পরিষ্কার করলেও ভেতরের দিকটা করেন না। ফলে সেসব জায়গায় ব্যাকটেরিয়া জমতে শুরু করে।
জিহ্বা ও গালের ভেতরেও পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এগুলোতে ময়লা জমে মুখকে দুর্গন্ধযুক্ত করে তোলে।
ব্রাশ শেষ হলে মুখ ও টুথব্রাশ ধুয়ে নিন। এর পর মুখে পানি নিন ও ভালো করে কুলকুচি করে ফেলে দিন।দাঁত মাজার পর ভালো করে ব্রাশ ধুয়ে নিন, যেন ব্রাশে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে না পারে।
৩ মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করুন। বছরে অন্তত একবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান ও পরামর্শ নিন।