আমাদের ত্বকের ওপরের অংশে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। ইংরেজিতে সেগুলোকে 'পোরস' বলে।
সাধারণভাবে এগুলো চোখে পড়ে না। তবে যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং প্রচুর সিবাম উৎপন্ন হয়, তাদের পোরস বাইরে থেকে দেখা যায়।
তাছাড়া খাওয়াদাওয়া যদি ঠিকঠাক না হয়, তা হলে সমস্যা বাড়ে। ত্বক আরও বেশি করে সিবাম তৈরি করতে আরম্ভ করে, পোর ক্রমেই বড় হয়।
বাড়তি সিবাম আর ধুলাময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস। বাড়ে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যাও। এভাবে বেশি দিন চললে ত্বক আলগা হতে আরম্ভ করে। বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে।
চলুন, জেনে নিন এই সমস্যার সমাধান কীভাবে মিলবে।
অ্যালোভেরা জেল
দিনে দুই বেলা তাজা অ্যালোভেরার পেস্ট দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। লাগিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেক। তাতে ত্বক আর্দ্র থাকার পাশাপাশি পোরসের আকারও ছোট থাকবে। দশ মিনিট পর আপনি যখন মাস্ক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, তখন সরে যাবে সব ময়লার পরত।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সম পরিমাণ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর ফিল্টার করা পানির মিশ্রণ তুলায় করে লাগিয়ে নিন মুখে। তারপর স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন। নিয়মিত টোনার হিসেবে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের পোরস ক্রমেই ছোট হতে আরম্ভ করবে।
ডিমের সাদা অংশের মাস্ক
ডিমের সাদা অংশ, ওটমিলের গুঁড়া, আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। তারপর তা মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট দশেক। শুকিয়ে গেলে মাস্ক তুলে নিন চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে। তার পর লাগান ময়েশ্চারাইজার। ক্রমেই ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে।
বেসন, হলুদ আর দইয়ের প্যাক
সবটা মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যে পোরস ছোট হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতাও ফিরে আসবে।
কলার খোসা
কলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেবেন না। তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মুখে ঘষুন আলতো হাতে। তারপর পানির ঝাপ্টা দিয়ে ধুয়ে নিন এবং ক্রিম লাগান। এক দিন পরপর এই পদ্ধতি ট্রাই করলে ত্বকের সমস্যা কমবে, ব্রণ হবে না, ছোট হবে পোরস।