মোটরসাইকেলে করে রাতের চট্টগ্রাম নগরী দেখতে বের হয়েছিলেন নয় বন্ধু। পতেঙ্গা রিং আউটার রোড হয়ে বায়েজিদ লিংক রোড দিয়ে বাসায় ফেরার সময় রাস্তায় একটি অজগর দেখে থামেন তারা। তখন রোববার রাত ১টা।
ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল (ডব্লিউ সিসিইউ), ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ-কারো সহায়তা না পেয়ে নিজেরাই পাশের এক বনে অবমুক্ত করেন সাপটিকে।
নয় যুবকের একজন আজিজুর রহমান নোবেল।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, অজগরটি উদ্ধারে প্রথমে তারা ফোন দেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। সেখান থেকে ডব্লিউ সিসিইউ'র নম্বর পেয়ে কল করলেও কেউ রিসিভ করেননি। নিরুপায় হয়ে পরের ফোনটি করা হয় ফায়ার সার্ভিসে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, অজগর উদ্ধার তাদের কাজ না। তাছাড়া সাপ উদ্ধারের সরঞ্জামও তাদের নেই।
নোবেল আরও জানান, রাস্তার পাশে দাঁড়ানো ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। সাহায্য চাওয়া হয় তাদের কাছেও। কিন্তু পুলিশও ফিরিয়ে দেন তাদের।
এ সময়ে সড়ক বিভাজকের পাশে চলে যায় অজগরটি। উপায়ন্ত না দেখে এবার নিজেরাই সাপটিকে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেন।
নোবেল বলেন, ‘সাপটি দেখে সবাইকে জানিয়েছি। কেউ উদ্ধার করতে রাজি হয়নি, কিন্তু অজগরটিকে রাস্তায় রেখে যেতে পারছিলাম না, মানে আমাদের মন সায় দিচ্ছিল না। সাপটি স্লোলি (ধীর গতিতে) মুভ (নড়াচড়া) করছিল। গাড়ি চাপা দিলে নির্ঘাত মৃত্যু হতো।
‘সাপটি দেখে ভয়ও পাচ্ছিলাম। তবে আমাদের মধ্যে রাকিব বেশ সাহসী। তার কথায় সবাই মিলে সাপটিকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পাশের পাহাড়ি বনে রেখে আসি। সাপটিকে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নিজের মতো ধীরে ধীরে পাহাড়ের দিকে চলে যায়।’
এ বিষয়ে বনবিভাগের চট্টগ্রাম সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে এরা। আমরা সাধারণত উদ্ধার করে বনেই অবমুক্ত করি।’