বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অতিরিক্ত চিপস খাওয়ার অপকারিতা

  • আবির আবরাজ   
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:২৫

গ্রিফিন হেলথের মতে, চিপসে প্রচুর পরিমাণে কোলস্টেরল থাকে। কারণ এটি ডুবো তেলে ভাজা হয়। কোলস্টেরল ধমনি ব্লক করে ফেলে, যার কারণে স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রবল হয়।

চিপস খেতে কে না ভালোবাসে। অবসর সময়, টিভির সামনে, ভ্রমণে বা আড্ডায় চিপস যেন আবশ্যিক। বিশেষ করে চিপস হলে বাচ্চাদের আর কিছুর দরকার নেই। তবে অতিরিক্ত চিপস খাওয়ার ফলে হতে পারে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা। চলুন জেনে নিই-

উচ্চ রক্তচাপ

প্রিয় সব ধরনের চিপসে অতিরিক্ত লবণ থাকে। তাই চিপস খেলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের মতে, চিপসে থাকা লবণ শরীরে সোডিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা নষ্ট করে। যা শরীরের রক্তচাপ অস্থিতিশীল করে তোলে।

ক্যানসার

আমেরিকান ক্যানসার অ্যাসোসিয়েশনের মতে, চিপসে অ্যাক্রিল্যামিড নামক একধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যাতে কারসিনোজেনিক থাকে। এই রাসায়নিকটি ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই বলা হয়ে থাকে, নিকোটিন মানবদেহে যতটুকু ক্ষতি করে, চিপসও ততটাই করে। সিগারেট এবং চিপস দুটোতেই এই কারসিনোজেন থাকে, যা ক্যানসারের কারণ।

স্ট্রোক

গ্রিফিন হেলথের মতে, চিপসে প্রচুর পরিমাণে কোলস্টেরল থাকে। কারণ এটি ডুবো তেলে ভাজা হয়। কোলস্টেরল ধমনি ব্লক করে ফেলে, যার কারণে স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রবল হয়।

বন্ধ্যত্ব

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের গবেষণামতে, চিপসে ট্রান্সফ্যাট থাকে। যা নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমায়।

ওজন বৃদ্ধি

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, চিপসে থাকা বিভিন্ন উপাদান মানুষের শরীরের মেদ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তা ছাড়া চিপসে যে লবণ ব্যবহার করা হয়, তা আমাদের স্বাদের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগে এবং খাওয়ার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।

বিষণ্নতা

অতিরিক্ত চিপস শুধু শারীরিক ক্ষতিই নয়, মানসিক ক্ষতিও করে। এর মূল কারণ ট্রান্সফ্যাট। ২০১৬ সালে প্রকাশিত ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের একটি গবেষণামতে জানা যায়, চিপসে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলো শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটায় সেসবের ফলে মানসিকভাবেও মানুষ আক্রান্ত হয়। ফলে বিষণ্নতা এবং হতাশা বাড়ে।

সূত্র: ইট দিস, নট দ্যট!

এ বিভাগের আরো খবর