মুখের ভেতর জিব্বার বিভিন্ন পাশে, মাড়ি এবং নরম মাংসপেশিতে অনেক সময় ফোসকার মতো পড়ে বা ঘা হয়। এতে প্রবল যন্ত্রণা হওয়ার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া এবং কথা বলায় সমস্যা হয়। চিকিৎসা না করালে এসব ঘা মারাত্মক আকার নিতে পারে।
ঘায়ের কারণ
ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স এবং আয়রনের অভাব মুখে ঘা হওয়ার প্রাথমিক কারণ। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাইরাল বা ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণেও ঘা হয়।
গালে কামড় পড়া বা ব্রাশ করতে গিয়ে আঘাতের ফলে তৈরি হওয়া ক্ষত থেকেও ঘা হয়। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে এমন খাবার খাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অতিরিক্ত পান খেলেও ঘা হতে পারে। এ ছাড়া হরমোনের পরিবর্তন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, রক্তস্বল্পতা, অ্যাসিডিটি, গরম চা খেতে গিয়ে পুড়ে যাওয়া থেকেও মুখে ঘা হতে পারে।
করণীয়
প্রথমত মুখ সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারলে ভালো। খেয়াল রাখতে হবে শরীর যেন আয়রন ও ভিটামিনের অভাবে না থাকে। অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টিভাইরাল উপাদান মুখের ঘা সারাতে সাহায্য করে।
এক টেবিল চামচ দুধের সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে ঘা দ্রুত সারে। এ সমস্যায় তুলসিপাতাও কার্যকর। এক গ্লাস পানিতে তিন থেকে চারটি তুলসিপাতা মিশিয়ে কুলকুচা করলে উপকার পাওয়া যায়।
ঘায়ে অতিরিক্ত ব্যথা হলে ঠান্ডা পানিতে ভেজানো টি ব্যাগ লাগালে আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচা করলেও মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধিত হয়। ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠলে ক্ষতস্থানে বরফ ঘষলে আরাম মিলবে।
সূত্র: মেডলাইন প্লাস