গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৪৪ জনে। এর মধ্যে মারা গেছে ৭৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭৩ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে শুরুর ছয় মাস ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭০ জন।
এ বছরের জুলাইয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। ওই মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ২৮৬ জন। আগস্টে এসে এটি দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৯৮ জনে। সেপ্টেম্বরে রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৪১ জন।
চলতি মাসের এক সপ্তাহে ১ হাজার ৩৪৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ জন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৯ হাজার ৫৪৪ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ৮৭৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৪৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭১৬ ডেঙ্গু রোগী।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জুলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আগস্টে মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। আর সেপ্টেম্বরে মৃতের সংখ্যা ছিল ২২ জন।
এ ছাড়া মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে অক্টোবরের এক সপ্তাহে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
২১ বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর সার্বিক বিষয় নিয়ে তথ্য জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু আর কখনো দেখেনি দেশ।
ডেঙ্গুতে এ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৯ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে। সে বছর ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়।
২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে এটি তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর হার।