পানি ছাড়া যেমন বেঁচে থাকা অসম্ভব, তেমনি দূষিত পানি পান করলে মৃত্যুও হতে পারে। বিশেষ করে যারা শহরে থাকেন, খাওয়ার পানি দূষণমুক্ত করা নিয়ে চিন্তাটা তাদেরই বেশি। জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করার কয়েকটি সহজ উপায়।
ফুটিয়ে নেয়া
পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে সহজ এবং উত্তম উপায় হলো ফুটিয়ে নেয়া। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কমপক্ষে ১৫ মিনিট ফোটালে পানিতে থাকা যেকোনো জীবাণু, পরজীবী, ডিম, লার্ভাসহ ক্ষতিকারক সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। ফোটানোর পর পানি ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হয়। পাত্রটি স্টিল অথবা কাচের হলে ভালো। তবে দুই দিনের বেশি এভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না। কারণ পরিষ্কার পানিও এই সময়ে পুনরায় দূষিত হতে পারে।
ফিল্টারিং
ফোটানোর মাধ্যমে জীবাণু আর পরজীবী ধ্বংস হলেও পানির রাসায়নিক উপাদান থেকে যায়। রাসায়নিকমুক্ত করতে ফোটানো পানি ফিল্টারিং করে নিতে হবে। অনেক ফিল্টার আছে, যা পানিতে থাকা জীবাণুর পাশাপাশি দুর্গন্ধও দূর করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফিল্টারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ফিটকিরি
পাত্রে রাখা পানিতে অল্প পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে ৩ ঘণ্টা রেখে দিলে পানিতে থাকা ময়লা তলানিতে জমা হয়। এরপর নিচের পানিটা বাদ দিয়ে ওপরের পানি আরেকটা জায়গায় সরিয়ে নিলেই বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রেও পানি আবার ছেঁকে নেয়া ভালো।
ক্লোরিন ট্যাবলেট
পানির জীবাণু ধ্বংস করতে ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার করা যায়। ফোটানো এবং ফিল্টারিংয়ের উপায় না থাকলে এ পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করা যেতে পারে। ৩ লিটার পানি বিশুদ্ধ করতে একটি ট্যাবলেটই যথেষ্ট।
আয়োডিন
এক লিটার পানিতে ২ শতাংশ আয়োডিন দ্রবণ মিশিয়ে আধা ঘণ্টার বেশি রাখলেই পানি জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। তবে যথাযথ দক্ষতা ছাড়া এ কাজ করতে যাওয়া উচিত নয়। কারণ পানি ও আয়োডিনের মাত্রায় ভারসাম্য ঠিক না থাকলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।