গ্রিন টিতে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে। দেহের ফ্রি র্যাডিকাল নিয়ন্ত্রণেও এটি কাজ করে। এত গুণের গ্রিন টি কিন্তু পান করা ছাড়াও অন্য নানা কাজে ব্যবহার করা যায়। চলুন সেই কাজগুলো দেখে নেই।
ফেস স্ক্রাব এবং টোনার তৈরি
গ্রিন টির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি ক্ষমতা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আপনি যেভাবে চায়ের পাতা বা টি ব্যাগ দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে নেন, সেইভাবে চা তৈরি করে পুরোপুরি ঠান্ডা করে নিন। তার মধ্যে মেশান চিনি, আটার ভুসি, কাঠবাদামের গুঁড়া। তার পর সেটা দিয়ে স্ক্রাব করে ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে নিন। টোনার তৈরির জন্য গ্রিন টি ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রেখে কিউব হিসেবে জমিয়ে নিন। তার পর সেই টুকরাটা একটা টিস্যুতে মুড়ে মুখে আলতো হাতে বুলিয়ে নিলেই চলবে!আইস প্যাক
গ্রিন টি দিয়ে চা তৈরি করে নেয়ার পর পাতিগুলো ফেলে না দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ঘুম না হবার কারণে চোখের নিচে ফুলে গেলে সেই পাতিগুলো ব্যবহার করুন। পাতিতে একটু গোলাপজল স্প্রে করে চোখের ওপর রাখুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাতে ফোলাভাব কমবে।
চুল ধোয়ার জন্য ব্যবহার
নিয়ম মেনে গ্রিন টি তৈরি করে নিন। তার পর সেটাকে ঠান্ডা করে বোতলে ভরে রাখুন। শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের পর চুল ধোয়ার জন্য এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।সানবার্নের সমস্যা
গ্রিন টি তৈরি করে ছেঁকে নিন। তার পর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। রোদে পোড়া ত্বককে আরাম দেওয়ার জন্য একটি পরিষ্কার রুমাল বা নরম ন্যাপকিন ডুবিয়ে নিন গ্রিন টি মিশ্রণে। তার পর সেটি ঠান্ডা অবস্থায় তুলে নিয়ে রোদে পোড়া অংশে আলতো করে ব্যবহার করুন।