পিঠ ব্যথা আমাদের দেশের একটি সাধারণ সমস্যা। বয়স্করা এই রোগে বেশি ভোগেন। আজকাল অল্পবয়সীদের পিঠ ব্যথায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে চাইলে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। চলুন সেগুলো দেখে নেই।
হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শরীরকে অ্যাক্টিভ রাখলে পিঠ এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা কমে। কুঁজো হয়ে হাঁটার বদলে টান টান হয়ে হাঁটুন। মাংসপেশি ও হাড়ের প্রসারণ ব্যথায় আরাম দেয়ার পাশাপাশি ব্যথা রোধেও কাজ করে।
ইয়োগা ও টাই চাইয়ের মতো ব্যায়ামগুলো শরীরের ব্যথা কমাতে ভালো কাজ করে। তাই ঘরে বসে এগুলো করে দেখতে পারেন।
বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটরটি চোখ বরাবর আছে কি না, সেদিকে লক্ষ রাখুন। না থাকলে চোখ বরাবর নিন। দীর্ঘ সময় বসে কাজ না করে কিছুক্ষণ পর পর উঠে হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ব্যথা কমানোর গুরুত্বপূর্ণ উপায়। শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের ভারসাম্য থাকলে মেরুদণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না। ফলে ব্যথা কমে।
ধূমপান ত্যাগ করুন। গবেষকদের মতে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের মেরুদণ্ডের ব্যথার ঝুঁকি চার গুণ বেশি। কেননা নিকোটিন আর তামাকজাত দ্রব্য মেরুদণ্ডের ফাঁপা ডিস্কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ শুষে নিয়ে তা ক্ষয় করে ফেলে।
ব্যথা হলে ঠান্ডা অথবা গরম সেঁকা দিন। অনেকের মতে, একটি আরেকটির থেকে ভালো। তবে ডাক্তারদের মতে, যেটাতে আপনি বেশি আরাম পাবেন, সেটাই প্রয়োগ করুন।
ভিটামিন ডি, মিনারেল ও ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান। এগুলো হাড়ের ক্ষয় রোধ ও গঠনে সহায়তা করে।
সূত্র: ওয়েবএমডি