ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম শরীরে শোষণ করতে দরকার হয় ভিটামিন ডি। এর অভাবে রিকেট, অস্টিওম্যালেসিয়াসহ হাড়ের বিভিন্ন রোগ হয়।
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি প্রয়োজন। রোদ পোহালে এবং ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খেলে সহজেই এই পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন ডির অন্যতম উৎস। সূর্য যখন প্রখর থাকে, তখনই অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছায়। এ সময় রোদ পোহালে আমাদের ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।
কালো ত্বকে মেলানিন নামের রঞ্জক পদার্থ বেশি আর ফর্সা ত্বকে কম। মেলানিন অতিবেগুনি রশ্মিকে বাধা দেয়। তাই ফর্সা ব্যক্তি দিনে ২০ মিনিট রোদে থাকলেই চলে। তবে যারা কালো, তাদের একটু বেশি সময় থাকতে হয়।
বাইরে বেরিয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, সেই আলোতে ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি কাচ ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ পোহালে উপকার পাবেন না। পোশাক ও সানস্ক্রিন ত্বকে সরাসরি আলো লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বেরোলে চলবে না। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখতে হবে। মাঝেমধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বেরোতে হবে।
তৈলাক্ত মাছ, যেমন কড বা হাঙর মাছের যকৃতের তেল এবং অন্যান্য প্রাণীর যকৃতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়া দুধ, ডিমের কুসুম, মাখন ও চর্বিযুক্ত খাদ্যে ভিটামিন ডি আছে। যেসব প্রাণী মাঠে চরে বেড়ায় এবং প্রচুর সূর্যালোক পায়, ওই সব প্রাণীর দুধ, ডিম ও যকৃতে ভিটামিন ডির পরিমাণ বেশি থাকে।