বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাটুরিয়ার আকর্ষণ ‘বাংলাদেশ চত্বর’

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৫২

বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়াবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ চত্বরকে আরও সাজিয়ে তুলতে দেয়ালে কিছু কারুকাজ করার পরিকল্পনা আছে। আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতেই এই চত্বর করা।

একপাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‍্যাল, আরেক পাশে শহীদ মিনার। মাঝখানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এখন শোভা বাড়াচ্ছে এই স্থাপনাগুলো। এর নামে দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ চত্বর’।

সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের ফটক পার হলেই ডান দিকে এই চত্বর। উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় (ইউএনও) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক একর জমিতে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের অর্থায়নেই এটি গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথমে খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে হয় প্রায় ৪১ লাখ টাকা।

এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি বাংলাদেশ চত্বর। স্থাপনাগুলোর পেছনের দেয়ালে কাজ বাকি আছে। দেয়াল ঘেঁষে লাগানো হয়েছে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু গাছ। সেগুলো এমনভাবে লাগানো যেন বেড়ে উঠলে আর ফুল ফুটলে বাংলাদেশের পতাকার মতো সবুজের মাঝে লাল দেখায়।

দৃষ্টিনন্দন এই চত্বর পেয়ে খুশি উপজেলাবাসী।

স্থানীয় বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান মিশু বলে, ‘আমাদের এখানে বাংলাদেশ চত্বর হইছে। আমরাও কিছু শিখতে পারব আর আমাদের ছোট ভাইবোন আছে, তারাও দেশের ইতিহাসের কিছু শিখতে পারবে।’

সাটুরিয়ার সৈয়দ কালু শাহ কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আখি আক্তার লিজা জানান, আগে এখানে কেবল শহীদ মিনারটি ছিল। এখন নতুন স্থাপনা বসিয়ে জায়গাটি সাজানোয় তা আকর্ষণীয় হয়েছে।

বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর সোহেল চৌধুরী বলেন, ‘এখানে এক চত্বরেই শহীদ মিনার, স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আছে। মোট কথা এখানে আসলে বাংলাদেশকে আমরা হাতের মুঠোয় পাই এবং বাংলাদেশের চিত্র আমাদের চোখে ফুটে ওঠে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়াবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ চত্বরকে আরও সাজিয়ে তুলতে দেয়ালে কিছু কারুকাজ করার পরিকল্পনা আছে। আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতেই এই চত্বর করা।

ইউএনও আশরাফুল আলম বলেন, ‘এতো বড় একটা উপজেলা আর এর ওয়ালে ছিল ছোট্ট একটা শহীদ মিনার। এটা দেখে আত্মসম্মানে লাগত। এরপর ভাবছিলাম কিছু করার।

‘এরপর যখন বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যাল করার নির্দেশনা আসল, তখন চিন্তা করলাম। পুরো এরিয়াজুড়ে যদি আমরা এটা ডিজাইন করে রাখি, তাহলে পার্ট বাই পার্ট আমরা ধীরে ধীরে করতে পারব। কারণ এটা আমাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ন একটা অংশ।’

এ বিভাগের আরো খবর