বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শরতের কাশফুলে ছেয়েছে আরেক ‘দিয়াবাড়ি’

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:২৪

২০২০ সালে ১০ একর জমির ওপর যাত্রা শুরু হয় বরগুনা বিসিকের। ফটক থেকে সোজা দক্ষিণ দিকের সড়ক ও তিনটি শাখা সড়কের দুই পাশে আছে মাঠ। সেখানেই ফুটেছে কাশফুল। প্রতিদিনই বিকেল হলে সেখানে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের। 

বরগুনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসানুর রহমান ঝন্টু বেশির ভাগ সময়ই থাকেন ব্যস্ত। সাংবাদিকতার পাশাপাশি কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। এ কারণে পরিবারকে সময় দেয়া হয় কম।

স্ত্রী ও মেয়ের আবদারে তাদের নিয়ে গত রোববার ঝন্টু বেড়াতে যান বরগুনা-বরইতলা সড়কের ক্রোক এলাকায়, সদ্যঃসমাপ্ত বিসিক শিল্পনগরীতে। সেখানে এখন মাঠ ছেয়ে আছে শরতের কাশফুলে।

এলাকার লোকজন এই জায়গাটির নাম দিয়েছে ‘বরগুনার দিয়াবাড়ি’। রাজধানীর উত্তরায় কাশফুলের জন্য জনপ্রিয় স্পট দিয়াবাড়ির অনুকরণেই এই নামকরণ।

কাশফুল দেখে শৈশবে পড়া রবীন্দ্রনাথের ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতার কিছু লাইন আওড়ে নিলেন ঝন্টু।

“‘চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা/ একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা..’ এসব কাশফুল দেখেই তো বড় হয়েছি। নদীতীরে কাশবনের দোল খাওয়া দেখেছি। এখন আর তেমনটা নেই। এখন এ রকম কোথাও কাশফুলের দেখা পেলেই মানুষ ছুটে আসে। এখানে নিরানন্দ সময়টা কাশবনে এসে একটু উপভোগ করছি।”

শরতের বিকেলের স্নিগ্ধতা যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ছোটোখাটো এই কাশবন। বরগুনা শহর থেকে পশ্চিমে মাত্র পাঁচ মিনিট দূরে এই এলাকা।

২০২০ সালে ১০ একর জমির ওপর যাত্রা শুরু হয় বিসিকের। ফটক থেকে সোজা দক্ষিণ দিকের সড়ক ও তিনটি শাখা সড়কের দুই পাশে আছে মাঠ। সেখানেই ফুটেছে কাশফুল। প্রতিদিনই বিকেল হলে সেখানে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের।

সদরের ঢলুয়া এলাকার তানিয়া জামান পরিবারসমেত সেখানে বেড়াতে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যস্ত জীবনে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে আসা। বাড়ির কাছেই এত সুন্দর প্রকৃতির রূপ না দেখে থাকা যায়!’

স্থানীয় সমাজকর্মী জাফর হোসেনও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাশবনে। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিতেই প্রকৃত শান্তি। শরতের আবহাওয়া এমনিতেই চমৎকার। এর মধ্যে শুভ্র কাশের বন, অন্যরকম এক ভালোলাগা।

‘আমি ঢাকার দিয়াবাড়িতেও ভ্রমণ করেছি। এই স্থানটি দেখে আমার মনে হয় এটা বরগুনার দিয়াবাড়ি। যারা এখানে আসি আমরাই এর নাম দিয়েছি- বরগুনার দিয়াবাড়ি।’

নীল শাড়িতে সেজে বন্ধুদের সঙ্গে কাশবনে এসেছেন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নূর-ই জান্নাত।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ লকডাউনে ঘরে বন্দি প্রায়। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না। একঘেয়ে জীবন। তাই সবাই পরিকল্পনা করে কাশফুলের দোল খাওয়া দেখতে এখানে চলে এসেছি।’

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক আমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পে এখন প্লট বরাদ্দের কাজ চলছে। যে স্থানে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে ওই স্থানে বালি ভরাট করে রাখা হয়েছে। সেখানেই এখন কাশফুলের সমারোহ।

‘প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এখানে। একটা জমজমাট পরিবেশ। বেশ ভালো লাগে। এখনও এখানে বিসিকের কলকারখানা স্থাপন শুরু হয়নি। তাই নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হয় না।’

এ বিভাগের আরো খবর