আপেল বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটির দামও হাতের নাগালে। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে কী কী উপকার হবে, চলুন জেনে নেই।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় ২৩ শতাংশ কমে। কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনল থাকে, যা অগ্ন্যাশয়ের খেয়াল রাখে। ওদিকে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আপেলের মধ্যে ট্রিটারপেনয়েডস নামে একটি উপাদান পেয়েছেন, যেটি লিভার, স্তন ও কোলোনের মধ্যে ক্যান্সারের কোষ বেড়ে উঠতে বাধা দেয়। আপেলের মধ্যে যে পরিমাণে ফাইবার থাকে, তা মলাশয়ের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস হতে বাধা দেয়
যারা প্রতিদিন আপেল খান, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ২৮ শতাংশ কমে যায়। কারণ আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমায়
আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা অন্ত্রের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে। আর একবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। আপেলের খোসার মধ্যে ফেনলিক থাকে, তা রক্তনালি থেকে কোলেস্টেরল সরাতে কাজ করে। ফলে হার্টে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
পিত্তথলির পাথর সারাতে সাহায্য করে
পিত্তথলির মধ্যে অধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল জমে গেলে পাথর হয়। এই জটিলতা এড়াতে ডাক্তাররা সব সময় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে গলস্টোন সারাতে ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এসব কাজ যাতে ঠিকমতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে আপেলের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।