আমাদের সবার শরীর কমবেশি ঘামে। এক জাতীয় ব্যাকটেরিয়া ঘামে উপস্থিত প্রোটিন কণাগুলোকে ভেঙে অ্যাসিডে পরিণত করে। যখন এই প্রক্রিয়া চলে, তখনই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। মানুষভেদে দুর্গন্ধের পরিমাণটা বদলাতে থাকে।
তাই ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের ঘেমে যাবার পরিমাণ কমাতে হবে, নয়তো ব্যাকটেরিয়াকে তাড়াতে হবে। সে জন্য এই পদ্ধত্তিগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন।
প্রতিদিন গোসল
প্রতিদিন কমপক্ষে একবার গোসল করতে হবে। গোসলের সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান অথবা বেনজোয়েল পার-অক্সাইড ক্লিনজার ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। সাবান দিয়ে পুরো শরীরকে ফেনায়িত করতে হবে, বিশেষ করে দুর্গন্ধপ্রবণ স্থান।
আপনি যদি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে বাস করেন, তাহলে প্রতিদিন দুইবার গোসল করতে পারলে ভালো। ভেজা কাপড় দিয়ে বগল, কুঁচকি ও ত্বকের ভাঁজ মুছে নিলেও দুর্গন্ধ কমবে।
সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার
ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে বগলের পরিবেশ ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রতিকূল হতে পারে। এই প্রোডাক্ট বগলের দুর্গন্ধকে সুবাস দিয়ে ঢেকে দেয়। অন্যদিকে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ঘাম নিঃসরণ কমাতে ঘাম গ্রন্থিকে ব্লক করে। আপনার শরীর থেকে বেশি ঘাম ঝরলে এমন প্রোডাক্ট কিনুন যার লেবেলে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ও ডিওডোরেন্ট উভয় রয়েছে। তেমন ঘাম বের না হলে শুধু ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
সুতি পোশাক পরুন
শরীরের দুর্গন্ধ কমাতে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরুন। পলিয়েস্টার, নাইলন ও রেয়নের তুলনায় সুতির পোশাক ভালো। সুতির প্রাকৃতিক তন্তু বাতাস চলাচলের সুযোগ দেয়, যার ফলে ঘাম উবে যায়।
খাবারে পরিবর্তন আনুন
দুর্গন্ধ কমাতে আপনার খাবার থেকে মসলাদার ও কড়া স্বাদের খাবার বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কড়া গন্ধের খাবার খাচ্ছেন তাদের শরীর থেকে বেশি দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এমনকি অ্যালকোহলও ঘামের গন্ধকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি দেখেন খাবার পরিবর্তনের পর শারীরিক দুর্গন্ধ কমে গেছে, তাহলে খাবারগুলো পুরোপুরি বাদ দেবার কথা ভাবতে পারেন।
লোম পরিষ্কার করুন
শরীরের যেসব স্থানে লোম বেশি সেখানে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিও বেশি, যেমন- বগল ও জননাঙ্গ। লোমগুলো ঘাম ধরে রাখে ও ব্যাকটেরিয়া বসবাসের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। তাই নিয়মিত লোম কেটে ফেললে শারীরিক দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।