লোমকূপের গোড়ায় তেল নিঃসরণ গ্রন্থি এবং মৃত কোষের অবশেষ মিলে ব্রণ তৈরি করে। চাইলে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজেই ব্রণ সমস্যার সমাধান করতে পারি।
শসা
শসায় বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে। এর ভিটামিন এ, ডি এবং ই প্রতিটিই ত্বকের জন্য ভালো। শসা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি দিয়ে গ্রিন টি বানান। বানানো পানিটা ঠান্ডা করে ব্রণের জায়গায় ব্যবহার করুন। গ্রিনটিতে তুলা ভিজিয়ে ব্রণের ওপরে আলতো করে চেপে ধরুন। চাইলে চায়ের পাতা টিস্যু পেপারে নিয়ে রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর মুখ ধুয়ে নিন।
অ্যাসপিরিন
খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।
রসুন
রসুন ব্রণের সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে। এটি ব্যবহার করাও সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন বেটে নিয়ে ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনিট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এটা করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।
লেবুর রস
তুলায় করে লেবুর রস নিয়ে ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিন। সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়া দিতে পারলে আরও ভালো। রাতে শুতে যাওয়ার আগে মিশ্রনটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।