বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্যুতের অভাবে ২ বছরেও চালু হয়নি শিশুদের ৪০ শয্যা

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৩৬

রাজশাহী মেডিক্যালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘এই মেশিনগুলো চালাতে অনেক ভোল্টেজ দরকার। আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে যে লাইন আছে, তা দিয়ে যদি সাপ্লাই দেয়া যায়, তখন এটি প্রপার ভোল্টেজ পায় না। আমার আগের ডাইরেক্টরও এটি চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। আমি এসে যখন দেখলাম, তখন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

মৃত্যুহার কমানোর পাশাপাশি শিশুদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) আধুনিক স্পেশাল কেয়ার নিওনেটাল ইউনিটে (স্ক্যানো) ৪০টি বেড দেয় ইউনিসেফ। গত দুই বছরে শুধু বিদ্যুতের অভাবে তা চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা।

রামেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ২০১৯ সালে হাসপাতালে ৪০টি আধুনিক শয্যা দেয় ইউনিসেফ। স্ক্যানো ইউনিট মূলত প্রি-ম্যাচিউরড শিশুসহ ২৮ দিন বয়সী শিশুদের জীবন রক্ষায় বিশেষ উপযোগী সেবা।

ইউনিটটিতে আছে র‍্যাডিয়েন্ট ওয়ার্মার, পালস অক্সিমিটার, ফটোথেরাপি, অক্সিজেন কনসেনট্রেটরসহ আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। অপরিপক্ব, স্বল্প ওজনসহ নানাবিধ জটিল সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুদের উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব এখানে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী বলেন, ‘আমাদের এখানে এই ইউনিট আছে। তবে এটি চালু করতে পারিনি। বাচ্চাদের স্পেশাল কেয়ার দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে।

‘সবকিছু সাজিয়ে-গুছিয়ে নেয়ার পরও এটি দুই বছর ধরে পড়ে আছে। ইউনিসেফ এটি আমাদের করে দেয়। এগুলোর দামও অনেক। এক একটি বেডের দামও প্রায় আইসিইউর সমান।’

রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. বেলাল উদ্দিন জানান, স্ক্যানো এখনও চালু হয়নি। এটি তৈরির কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। শুধু বিদ্যুতের কারণে এটি চালু হতে দেরি হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, মূলত লোড নিতে না পারায় আলাদা ট্রান্সমিটার লাগিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। মেশিন চালানোর লোড পেতে সময় লাগছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানির সহায়তায় এ যন্ত্রগুলো দেয়া হয়েছিল। রামেকের স্ক্যানো ইউনিট মূলত শিশুদের প্রপার ট্রিটমেন্ট দেয়ার জন্য বানানো হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবেই এটি পড়ে আছে।

‘এ মেশিনগুলো চালাতে অনেক ভোল্টেজ দরকার। আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে যে লাইন আছে, তা দিয়ে যদি সাপ্লাই দেয়া যায়, তখন এটি প্রপার ভোল্টেজ পায় না। আমার আগের ডাইরেক্টরও এটি চালুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। আমি এসে যখন দেখলাম, তখন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে দুটি সাবস্টেশন আছে। একটি আউটডোর এলাকায় ৬৫০ কিলোভোল্ট (কেভি)। আর নতুনটি মেডিক্যাল কলেজের পাশে ১ হাজার কেভি। সেটা থেকে হাসপাতালে কোনো লাইন নেই।

‘মূলত সবাই চাচ্ছিল সেখান থেকে লাইন নিতে। এখান থেকে লাইন নিতে ১০ লাখ টাকার দরকার পড়ে। পরে এটি পাস করে তার টানা হয়েছে। যখন তার টানা শেষ হয়েছে ,তখনই করোনা শুরু হয়। তখন এটিকে আমরা করোনা ইউনিট করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটি সাধারণ ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্যুতের লাইনও পেয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ ইউনিটটি চালু হবে বলে আশা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর