কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বনের পাশের একটি জমি থেকে হাতির খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার খুনিংয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে পাওয়া যায় মৃতদেহটি। এর শরীরে অংশের আশপাশে মাটিচাপা দেয়া ছিল খণ্ডিত পা ও মাথা।
রামু উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নজির আহম্মদ নামের স্থানীয় একজনকে আটক করেছে বনবিভাগ।
তিনি জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় হাতিটিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহ গুম করার জন্য পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে মাটিচাপা দেয়া হয়। তবে, সকাল হয়ে যাওয়ায় পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, হাতিটি মা হাতি ধারণা করা হচ্ছে। খাবারের খোঁজে এটি লোকালয়ে এসেছিল হয়ত। তখন দুর্বৃত্তরা বৈদুত্যিক ফাঁদ পেতে এটিকে হত্যা করেছে।
খণ্ডিত মৃতদেহটি স্থানীয়রা সকালে দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বন বিভাগে খবর দেয়। কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে মৃতদেহের মাটিচাপা দেয়া অংশ উদ্ধার করে।
খুনিংয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ নিউজবাংলাকে জানান, পাশেই বন আছে। সেখান থেকে প্রায়ই খাবারের খোঁজে হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসে। কিছু অসাধু ব্যক্তি হাতির আক্রমণের ভয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখে।
মৃত হাতির খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের সময় রামু উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন জুলকার নায়েক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসী কেউ আশেপাশের বাড়িঘর থেকে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।
‘হাতিটি যেখানে মারা গেছে সেটি এলাকাবাসীর জোত জমি। এর পাশেই রয়েছে বন। আর আশেপাশে লোকজনের ঘরবাড়িও রয়েছে। এসব বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। কোনো বাড়িঘর থেকে লম্বা তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।’
ইউএনও প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন, হাতি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।