মানবদেহে সেকোস্টেরয়েড গ্রুপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌগ ভিটামিন ডি৩ ও ভিটামিন ডি২। গুরুত্বপূর্ণ এ ভিটামিন পাওয়া যায় খাবার থেকে।
প্রাকৃতিক ভিটামিন ডির বড় উৎস সূর্যের আলো। সকালের রোদ থেকে যে ভিটামিন ডি আসে, সেটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এর বাইরেও সকালের রোদ পোহানোর আরও কিছু সুবিধা আছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সকালের রোদ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আগেই বলেছি, সকালে রোদ পোহালে দেহে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
হাড় গঠন
হাড় গঠনের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন ডি। এর অভাব হলে শিশুদের হাড় গঠন সঠিকভাবে হয় না। পাশাপাশি আর্থারিস, অস্টিওপোরোসিস, ফ্র্যাকচারের মতো রোগগুলোর ঝুঁকি দেখা দেয়।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
একটা বয়সে এসে দৃষ্টিশক্তি অনেকটা কমে আসে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ফলে এ ঘটনাটি ঘটে। ভিটামিন ডি-৩ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে কাজ করে। এ কারণে বয়স্কদের উচিত প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৫ মিনিট রোদ পোহানো।
শরীরের বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে
সকালের রোদ শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে দারুণ কার্যকর। দেহকে সুস্থ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে বিপাক ক্রিয়া।
এক গবেষণায় দেখা যায়, সকালের রোদের সঙ্গে আসা অতি বেগুনি রশ্মি স্থূলতা কমাতে সহায়তা করে। ভিটামিন ডির অভাবগ্রস্ত ব্যক্তির শরীরে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে চর্বি বেশি থাকে। তাই স্থূল ব্যক্তি দৈনিক ১৫ মিনিট সকালের রোদে হাঁটলে ত্বকে জমে থাকা নাইট্রিক অক্সাইডের দহন হয়। এতে চর্বি কমতে শুরু করে।
পরিমিত ঘুম
গবেষকরা দেখেছেন, সকালের রোদে হাঁটার অভ্যাস করলে ঘুমের সমস্যা হয় না। যারা সকালে রোদের মধ্যে হাঁটেন, তাদের ঘুমচক্র স্বাভাবিক থাকে।
এ ছাড়া সকালের রোদে দাঁড়ালে শরীর নাইট্রিক অক্সাইড মুক্ত হতে শুরু করে। এটা রক্তচাপ কমায় ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।