বিশ্বের মানুষ প্রতিদিন ৩৭০ কোটি কাপ চা পান করেন। সুস্বাদু বলেই মানুষ এটি পান করে, ব্যাপারটি সে রকম নয়। এর পুষ্টিগুণ কম হলেও এতে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান।
চায়ে আছে পলিফেনলস, ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ক্যাটেচিন। পলিফেনলস এবং ক্যাটেচিন ফ্রি রেডিক্যালস তৈরিতে বাধা দেয় এবং কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে থামায়। সে জন্য চা ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চায়ে পলিফেনলসের পরিমাণ ২৫ শতাংশের চেয়েও বেশি। এটা দেহের অভ্যন্তরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চায়ের উপাদানগুলোর মধ্যে ৭ শতাংশ আছে থিওফাইলিন ও থিওব্রোমিন। শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির জন্য এগুলো অনেক উপকারী। চা এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হলেও এতে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উত্তেজক পদার্থ। সাধারণত এক কাপ চায়ে রয়েছে প্রায় ৩০-৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। ক্যাফেইনের কারণেই ঘুম কম হওয়া, হজমে ব্যাঘাত ঘটা ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই ক্যাফেইনের কিছু ভালো দিকও রয়েছে। এটি হৃৎপিণ্ড ও দেহের অন্যান্য পেশি সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
চায়ে আছে এপিগ্যালোক্যাটেচিন-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা খুব কার্যকর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ফলদায়ক। এটা কোষের ডিএনএকে এমনভাবে সুরক্ষা দেয়, যেন ক্যানসারের প্রভাবে এর রূপান্তর না ঘটে।
এ ছাড়া চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী চা। এর লিকার দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে। নিয়মিত চা পানে রক্ত চলাচল ভালো হয়, পেট পরিষ্কার করে আর মস্তিষ্ককে রাখে সচল ৷
চায়ের মধ্যে লাল চা বেশি উপকারী। দুধ-চিনি মেশানো চায়ের স্বাদ অবশ্য বেশি ভালো। তবে গবেষকরা হালকা লাল চা পানের কথাই বেশি বলেন।