বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেকড়ের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:০১

নেকড়েদের একটি দল যখন চিৎকার করে তখন ১০ মাইল দূর থেকে শোনা যায়। তাদের চিৎকারের মানে হলো অন্য দলকে ডাকা বা বিপদ নিয়ে সতর্কতা। প্রতিটি দলের নিজস্ব ডাক আছে।

নাম তার ধূসর নেকড়ে। নাম শুনলেই আমাদের চোখের সামনে একটি হিংস্র প্রাণীর ছবি ভেসে ওঠে। কিন্তু নেকড়েদের জীবনযাপন নিয়ে এমন কিছু তথ্য আছে, যা হয়তো তোমার জানা নেই। এগুলো জানলে তুমি অবাকও হতে পারো।

প্রথমেই বলে রাখি, নেকড়েরা দল বেঁধে বাস করে। এদের দলকে ইংরেজিতে বলে প্যাক। একটি দলে সাত থেকে আটটি নেকড়ের পরিবার। যেখানে মা-বাবা এবং সন্তান থাকে। এরা শিকার, সন্তান লালন এবং নিজেদের অঞ্চল রক্ষা করতে একসঙ্গে কাজ করে।

নেকড়েদের যোগাযোগ দক্ষতা অসম্ভব ভালো। তাদের বেঁচে থাকার জন্য এই যোগাযোগ দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেকড়েরা চিৎকার করে যোগাযোগ করে। এ ছাড়া যোগাযোগের জন্য নিজেদের শরীরে উৎপাদিত ঘ্রাণ ব্যবহার করে। একটি নেকড়ের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

তাদের ঘ্রাণের অন্যতম উৎস হলো প্রস্রাব। প্রসাবের গন্ধের মাধ্যমে তারা নিজেদের অঞ্চল চিহ্নিত করে। এমনকি অন্য নেকড়েকে নিজেদের দলে ফেরত আনতে এটাকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে।

তাদের যোগাযোগের আরেকটি মাধ্যম হলো শরীরী ভাষা। কোনো নেকড়ে আত্মবিশ্বাসী বোধ করলে সে মাথা এবং লেজ উঁচু করে রাখে। এ সময় তার কান দুটিও খাড়া থাকে। কিন্তু কোনো নেকড়ে যদি ভয় পেয়ে যায় তাহলে তার শরীর নিচু থাকে এবং দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে নিচের দিকে ঝুলে থাকে। এ সময় তার কান দুটিও চ্যাপ্টা হয়ে যায়।

নেকড়েদের একটি দল যখন চিৎকার করে তখন ১০ মাইল দূর থেকে শোনা যায়। তাদের চিৎকারের মানে হলো অন্য দলকে ডাকা বা বিপদ নিয়ে সতর্কতা। প্রতিটি দলের নিজস্ব ডাক আছে। যখন কোনো নেকড়ে খেলতে চায় তখন তার শরীরটি ধনুকের মতো করে ফেলে। এভাবে সে তার আনন্দ প্রকাশ করে। কিন্তু যখন সে রাগান্বিত হয় তখন কপাল চাপড়ায় বা গর্জন করে। একটি নেকড়ের শরীরী ভাষা অনেকটা কুকুরের মতো। অবশ্য নেকড়ে এবং কুকুর ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং তাদের যোগাযোগের প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।

বাচ্চা নেকড়েরা কমপক্ষে দুই বছর ধরে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে প্যাকে থাকে। এরপর কেউ কেউ অন্য দলে যোগ দেয়। কেউবা নিজেদের দলেই থেকে যায়। অন্য দলে যোগ দেয়ার ফলে তারা মা-বাবার কাছ থেকে দূরে সরে যায়। বাচ্চা নেকড়েরা খেলতে খেলতে বড় হয়। যেমন- তারা লাফালাফি করে, এখানে-ওখানে ঝাঁপ দেয়, একে অন্যকে তাড়া করে এবং কুস্তি খেলে। এমনি তারা লুকোচুরিও খেলে।

নেকড়েদের জীবনযাপন কিছু ক্ষেত্রে মানুষের মতো। যেমন- আমাদের বড় ভাই বা বোন ছোট ভাই-বোনের দেখাশোনা করে, তেমনি বড় নেকড়ে তাদের ছোট ভাই-বোনদের জন্য খাবার জোগাড় করে। তাদের যত্ন নেয়। নেকড়ে ৬ থেকে ৮ বছর বাঁচে।

এ বিভাগের আরো খবর