তোমরা অনেকে শিয়ালের ডাক শুনেছ। কিন্তু কখনো লাল শিয়ালের গল্প শুনেছ? না শুনলে এখন শুনে নাও।
উত্তর ভার্জিনিয়ায় যখন সূর্য অস্ত যেতে শুরু করে তখন লাল শিয়াল জেগে ওঠে। তারপর কী করে জানো? রাতের খাবার খোঁজার প্রস্তুতি নেয়। আর হ্যাঁ, ওরা কিন্তু একা একা শিকার করে। তখন ঝোপঝাড়ের মধ্য দিয়ে খুব সাবধানে পা ফেলে। যেন কোনো শব্দই না হয়।
লাল শিয়াল রাতের অন্ধকারের সঙ্গে মিশে থাকে। তাকে খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। এভাবে চলতে চলতে যখন কোনো কিছুর গন্ধ পায়, সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায়। তারপর কী করে বলতো? লাল শিয়াল লাফ দিয়ে শিকার ধরে ফেলে। শিকার তখন চিৎকার করলেও কাজ হয় না। তার চিৎকার কুকুর বেরিয়ে আসে, বাড়ির উঠোনের আলো জ্বলে ওঠে। কিন্তু লাল শিয়াল এতটাই চালাক যেকোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিকার নিয়ে উধাও।
শহুরে বন্যপ্রাণী
উত্তর গোলার্ধের বেশির ভাগজুড়ে সাধারণ লাল শিয়ালের প্রাকৃতিক পরিসীমা। লাল শিয়াল হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ধরনের মাংস খাওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের শহর ও শহরতলিসংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। এই চতুর বন্যপ্রাণী মানুষের কাছাকাছি থাকে। তবে মানুষের দৃষ্টি এড়াতে বাড়ির উঠোন, বাগান বা শহরের পার্কগুলোতে রাতে শিকার করে।
এরা যা পায়, তা-ই খায়। খরগোশ ও ইঁদুর এদের প্রিয় খাবার। তবে পাখি, ব্যাঙ, সাপ, ফড়িংও খায়। অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত লাল শিয়াল খোলা আবর্জনার বাক্সে খাবার খোঁজে। পোষা প্রাণীর জন্য বারান্দায় ফেলে রাখা খাবারও সুযোগ পেলে এরা খেয়ে ফেলে।
বাচ্চাকে খাওয়ানো
লাল শিয়াল দেখতে অনেকটা কুকুর বা নেকড়ের মতো লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিড়ালের মতোও হয়। এদের বড় বড় গোঁফ আর লম্বা নখ থাকে। রাতে দেখার জন্য এদের আছে চমৎকার দৃষ্টিশক্তি।
লাল শিয়াল একা একা শিকার করলেও বাচ্চার যত্ন নেবার সময় বাবা-মা মিলেমিশে কাজটি করে। বাচ্চার জন্য বাবা-মা পালা করে খাবার শিকার করে এবং তা বাসায় ক্ষুধার্ত বাচ্চার জন্য নিয়ে আসে।
লাল শিয়ালের বাসাকে কি বলে জানো তো? ডেন বলে। আর ডেনগুলো সাধারণত বনের প্রান্তে, মাঠের কাছাকাছি হয়। মূলত যেখান থেকে শিকার করতে সুবিধা হয় সেখানে ওরা ডেন বানায়।