ছেলের দু’দিন পর পরীক্ষা। অথচ পড়াশোনার নাম গন্ধ নেই। সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায়। মা, ব্যাপারটা দেখে বলেন-
মা: হাবলু, তোর না দু’দিন পরে পরীক্ষা! পড়াশোনা করছিস না যে!
হাবলু: মা পরীক্ষার এতো চাপ- পড়ার সময়ই পাচ্ছি না!!
-
ছেলে গান গাইছে, ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা’
বাবা: খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
খোকা: বাবা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
বাবা: তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
-
বাবা: খোকা, পরীক্ষা কেমন দিলি?
ছেলে: শুধু একটা উত্তর ভুল হয়েছে।
বাবা: বাহ্! বাকিগুলো সঠিক হয়েছে?
ছেলে: না, বাকি গুলোতো লিখতেই পারিনি।
-
একদিন স্কুল থেকে ফিরে ছোট্ট রিমন খুব রাগ করে বলছে
রিমন: বাবা, কাল থেকে আমি আর স্কুলে যাবো না।
বাবা: কেন বাবা, কী হলো হঠাৎ করে? স্কুলে যাবে না কেন? লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না?
রিমন: তা নয়। স্কুলের টিচাররা কিচ্ছু জানে না। খালি ছাত্রদের কাছেই পড়া জানতে চায়।
-
বাবা: আজ স্কুলের টিচার কী বললেন?
ছেলে: বললেন যে তোমার জন্য একজন ভালো অংকের টিউটর রাখতে।
বাবা: মানে?
ছেলে: মানে তুমি হোমওয়ার্কের যে অংকগুলো করে দিয়েছিলে, সব ভুল ছিলো।
-
ছোট মেয়েটি এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, 'বাবা, আম্মু কি আমার যত্ন নেয়?'
চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, 'অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে শোনায়।'
'দাদুভাই কি আমার যত্ন নেয়?'
'অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট, চকলেট নিয়ে আসে।
'আর দাদুমণি?'
'দাদুমণিও।'
'আর ফুপি?'
'ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।'
'আ...র রহিমার মা?'
'ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়।'
সবকিছু শুনে ছোট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বলবে, 'তাহলে তো আম্মু ঠিকই বলছে। এ বাসায় তুমি একমাত্র কোন কাজের না।'