বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোপাল ভাঁড়ের মজার ঘটনা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১১:২৫

গোপালের সঙ্গে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু। ‘বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র। তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমতো যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!’

ভাঁড় অর্থ যারা মজার কথা বলে বা মজার ঘটনা ঘটিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়।গোপাল ভাঁড় ছিলেন তেমনই একজন মানুষ।১৭১০ সালের দিক থেকে নদীয়া জেলার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদ ছিলেন গোপাল ভাঁড়।রসবোধের জন্য তার খ্যাতি ছিল।তার জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রসিকতা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে।

-

পায়ে ব্যথাএকদিন এক প্রতিবেশী গোপাল ভাঁড়ের কাছে এসে বলেন, ‌'আমাকে একটি চিঠি লিখে দাও।'‘আমি চিঠি লিখতে পারব না, আমার পায়ে ব্যথা।’প্রতিবেশী আশ্চর্য হয়ে বললেন, ‘চিঠি তো লিখবে হাত দিয়ে, পায়ে ব্যথা তাতে কী হয়েছে?’‘কারণ আমি অতদূর হেঁটে যেতে পারব না।’‘অতদূর হাঁটতে পারবে না মানে?’‘মানে আমার লেখা চিঠি আমি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না। আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তো। যাকে চিঠি পাঠাবে, তাকে তো আমাকেই পড়ে দিয়ে আসতে হবে, তাই না? পায়ে ব্যথা নিয়ে যাব কিভাবে?’

-

ঘটি যেন না ভাঙেরামবাবুর সঙ্গে গল্প করতে করতে গোপালের খুব তেষ্টা পেয়েছে। তিনি ভৃত্যকে ডেকে ঠাস ঠাস তিনটে চড় লাগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘যা এক ঘটি জল নিয়ে আয়, ঘটি যেন না ভাঙে।’

ব্যাপার দেখে রামবাবু বললেন, ‘গোপাল, ঘটি ভাঙার আগেই ওকে চড় মেরে বসলে যে?’

গোপাল জবাব দিলেন, ‘আরে ভেঙে ফেলার পর মেরে কি আর লাভ আছে? এর চেয়ে আগেই মেরে দিলাম। সাবধান থাকবে।’

-

বিদ্যের জাহাজগোপালের সঙ্গে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, ‘বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র। তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমতো যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!’গোপাল বললেন, ‘তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেন? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!’

-

গোপাল যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়িগোপাল যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি। মাথার ওপর গনগনে সূর্য। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গোপাল এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসলেন। বেশি গরম লাগায় ফতুয়াটা খুলে পাশে রেখে একটু আয়েশ করে বসলেন। বসে বিশ্রাম নিতে নিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লেন, নিজেই জানেন না।ঘুম যখন ভাঙল গোপাল দেখেন, তার ফতুয়াটা চুরি হয়ে গেছে।

হায় হায়! এখন কী হবে! খালি গায়ে তো আর শ্বশুরবাড়ি ওঠা যায় না। কী আর করা। গোপাল হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে বলতে লাগলেন, ‘হে ভগবান, রাস্তায় অন্তত ১০টি মুদ্রা যেন কুড়িয়ে পাই। তাহলে পাঁচ মুদ্রায় আমার জন্য একটা ভালো ফতুয়া কিনব। আর তোমার জন্য পাঁচটি মুদ্রা মন্দিরে দান করব।’

আর কী আশ্চর্য! ভাবতে ভাবতেই দেখে রাস্তার ধারে কয়েকটি মুদ্রা পড়ে আছে। খুশি হয়ে উঠলেন গোপাল, গুনে দেখেন পাঁচটি মুদ্রা! গোপাল মনে মনে বলে উঠল, ‘হে ভগবান, আমাকে তোমার বিশ্বাস হলো না। নিজের ভাগটা আগেই রেখে দিলে?

এ বিভাগের আরো খবর