হোজ্জার জোব্বা কেনা
একদা হোজ্জা জোব্বা কিনতে একটি দোকানে গেল। তো পছন্দ করার পর দোকানদার জোব্বাটা প্যাকেট করে দিল। হোজ্জা জোব্বা নিয়ে চলে আসার সময় ভাবলেন, জোব্বা না নিয়ে বরং একটি আলখাল্লা নিয়ে যাই।
দোকানিকে বললেন, আপনি বরং আমাকে একটি আলখাল্লা দিন।
দোকানি আলখাল্লা দেয়ার পর হোজ্জা তা নিয়ে বের হয়ে আসার সময় দোকানি ডেকে বলল, হোজ্জা সাহেব, আপনি তো আলখাল্লার মূল্য পরিশোধ করেননি।
হোজ্জা উত্তর দিল, আমি তো আলখাল্লার পরিবর্তে জোব্বাটা রেখে গেলাম।
দোকানি বললেন, আপনি জোব্বার জন্যও মূল্য পরিশোধ করেননি।
প্রতি উত্তরে হোজ্জা বললেন, জোব্বা তো আমি নেইনি। যেটা আমি নেইনি, তার জন্য মূল্য পরিশোধ করব কেন?
বিয়ে খাওয়া
পাড়ার এক লোক হোজ্জাকে সুনজরে দেখতেন না। হোজ্জা সবার কাছেই প্রিয় ছিলেন, কিন্তু হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না, সেই কারণেই তিনি নাসিরুদ্দিনকে হিংসা করতেন ।
হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি, কিন্তু হোজ্জাকে করেননি। হোজ্জাও জেদ ধরলেন, যেমন করে হোক বিয়ে খেতে হবে। হোজ্জার বুদ্ধি বের করতে দেরি হলো না।
একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন হোজ্জা। সবাই খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।
হাবু সাহেব খুব খুশি। স্বয়ং বাদশাহ নিশ্চয়ই মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। মনের আনন্দে তিনি হোজ্জাকে খুব খাতির-যত্ন করে খাওয়ালেন।
বেশ পেট ভরে খাওয়ার পর হোজ্জা লোকটির কাছে বিদায় নিতে গেলে তাঁর চিঠির কথা মনে পড়ল। এতক্ষণ কাজের ব্যস্ততায় খামখানা খোলার সময় হয়নি।
খামখানা খুলে তো তিনি থ! জিজ্ঞেস করলেন, হোজ্জা সাহেব, বাদশাহ তো কিছুই লেখেননি। এর মধ্যে তো রয়েছে শুধু একখানা সাদা কাগজ।
হোজ্জা বললেন, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না। আমাকে চিঠিখানা হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে বললেন, আমি পৌঁছে দিয়েছি। আমার কাজ এখানেই শেষ।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানো
হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর হোজ্জা সেই হেকিমের কাছে আবার গেলেন ওষুধ আনার জন্য।
হোজ্জাকে দেখে হেকিম বললেন, আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।
হোজ্জা বললেন, তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন।