বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেনালি রামনের গল্প

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ মার্চ, ২০২২ ১৩:০৬

তেনালি পণ্ডিত মশাইকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা একটি বই দেখিয়ে বললেন, আমি আপনার সঙ্গে এই বিখ্যাত তিলাকাষ্ঠ মহিষ বন্ধনম বইটির ওপর তর্কাতর্কি করব।

তেনালি রামকৃষ্ণ ছিলেন মহারাজা কৃষ্ণদেব রায়ের দরবারের একজন কবি এবং পরামর্শদাতা। তাকে আমরা চিনি তার অসাধারণ রসিকতা, কৌতুক-রসবোধ এবং অসামান্য বুদ্ধিমত্তার জন্য। আজ শুনব তার একটি মজার ঘটনা।

-

তর্কযুদ্ধ

একজন পণ্ডিত বিজয়নগরের রাজ্যে এলেন। রাজামশাইয়ের কাছে দাবি করলেন যে তিনি এতটাই জ্ঞানী ব্যক্তি যে তাকে সভাসদদের কেউই হারাতে পারবেন না।

মহারাজ সেই চ্যালেঞ্জটিকে গ্রহণ করলেন এবং তার মন্ত্রীদের আদেশ দিলেন সেই পণ্ডিতের সাথে তর্কযুদ্ধে অংশ নিতে। কিন্তু তার সব মন্ত্রীই হেরে যাচ্ছিলেন।

অবশেষে এল তেনালি রামনের পালা। তেনালি পণ্ডিত মশাইকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা একটি বই দেখিয়ে বললেন, আমি আপনার সঙ্গে এই বিখ্যাত তিলাকাষ্ঠ মহিষ বন্ধনম বইটির ওপর তর্কাতর্কি করব।

বইয়ের নাম শুনে পণ্ডিতমশাই মনে মনে হতাশ হলেন। কারণ তিনি ওই বইয়ের নাম আগে কখনও শোনেননি।

পণ্ডিত রাজামশাইয়ের কাছে এক রাতের সময় চাইলেন প্রস্তুত হওয়ার জন্য। কিন্তু পণ্ডিতমশাই মনে মনে ভয় পাচ্ছিলেন যে তিনি সেই তর্কাতর্কিতে হেরে যেতে পারেন। যেহেতু তিনি কখনও আগে সেই বইটির নামই শোনেননি।

বাধ্য হয়ে পণ্ডিতমশাই তার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেলেন।

পরদিন সকালে রাজামশাই এবং তার সভাসদরা শুনলেন যে পণ্ডিত পালিয়েছেন।

তখন রাজামশাই তেনালির ওপর অত্যন্ত খুশি হলেন এবং বললেন যে তিনি সে বইটি পড়তে চান যেটির নাম শুনে পণ্ডিতমশাই ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

তেনালি হেসে বললেন, ওই নামের কোনো বইই নেই।

তেনালি কাপড়ের মলাট খুলে ফেললেন এবং রাজামশাইকে বললেন যে তিল কাঠি এবং কিছু ভেড়ার গোবর একসাথে মিশিয়ে মোষ বাঁধার দড়ি দিয়ে বেঁধে সেটিকেই একটি বইয়ের মতন দেখতে বানিয়েছিলেন। যে যে জিনিসগুলো দিয়ে সেটি বানানো হয়েছিল, সেগুলোর সংস্কৃত শব্দগুলোকে মিশিয়ে বইটির নামটি তৈরি করেছিলেন তিলাকাষ্ঠ মহিষা বন্ধনম।

মহারাজ তেনালির চালাকি ও উপস্থিত বুদ্ধিতে খুশি হয়ে পুরস্কৃত করলেন।

এ বিভাগের আরো খবর