মিশরের পিরামিডের কথা কে কে শুনেছ?
আচ্ছা সবাই শুনেছ? বেশ। চলো আজ বিশাল এই পিরামিড সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নেই।
ছোট-বড় মিলিয়ে মিশরে প্রায় ১৩৮টি পিরামিড রয়েছে। সবচেয়ে বড় এবং আকর্ষণীয় হচ্ছে গিজার পিরামিড। এটি খুফুর পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। এগুলোর অধিকাংশই বানানো হয়েছিল প্রাচীন ও মধ্যকালীন ফারাওদের রাজত্বকালে তাদের ও তাদের স্ত্রীদের সমাধিসৌধ হিসেবে।
খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ২৫০০ হাজার বছর আগে এই পিরামিডের সৃষ্টি বলে ধারণা করা হয়। সবচেয়ে বড় খুফুর পিরামিডের উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির ওপর অবস্থিত।
খুফুর পিরামিডের ওজন ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টন। যেখানে বর্তমানের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার ওজন ৫ লাখ টন। ধারণা করা হয় ২.৩ মিলিয়ন পাথরের বিশাল বিশাল টুকরা দিয়ে পিরামিড বানানো হয়েছে। যেখানে প্রতিটি পাথরের টুকরার ওজন প্রায় ২.৫ টনের মতো। তবে কিছু কিছু পাথর খণ্ডের ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মতো।
পিরামিডের সামনে মানুষগুলোকে কত্ত ছোট লাগছে দেখেছো!
গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের মতে, প্রায় ২০ বছর ধরে ১ লাখ শ্রমিকের দ্বারা গিজার পিরামিডটি তৈরি করা হয়।
স্থপতি ইমহোটেপ এই পিরামিড ও পিরামিডসংলগ্ন চত্বরের নকশা প্রস্তুত করেছিলেন। তিনি একাধারে ছিলেন চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ, তৎকালীন ধর্মগুরু। পিরামিডের ভেতরে তার মূর্তি পাওয়া যায়।
পিরামিডের স্থপতি ইমহোটেপের মূর্তি।
পাথরগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর-দূরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সঙ্গে পাথর জোড়া দিয়ে এমনভাবে পিরামিড তৈরি করা হতো যে, একটি পাথর থেকে আরেকটি পাথরের মাঝের অংশে একচুলও ফাঁক থাকত না।
চার হাজার ৪০০ বছর ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য কর্ম। ১৮৮৯ সালে আইফেল টাওয়ার নির্মাণের পর এটি তার গৌরব হারায়।
ওপরের ছবিতে দেখেছ গিজা পিরামিড চত্বর। ডানদিকেরটা খুফুর পিরামিড, মাঝখানেরটা খাফ্রের পিরামিড এবং বামদিকেরটা মেনকাউরের পিরামিড। সামনের ছোট পিরামিড তিনটি মেনকাউরের পিরামিডের সঙ্গে সংযুক্ত স্থাপনা।