মাইকেল প্যাকার্ড চাচ্চু বাস করেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে। একদিন তিনি পড়েছিলেন মহা ঝামেলায়। কী ঝামেলা- চলো শুনি।
২০২১ সালের জুন মাসের ঘটনা। ডুব দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরার জন্য একদিন তিনি সাগরের পানিতে নেমেছিলেন। বেশ খানিকটা গভীরে যাওয়ার পর হঠাৎ কী যেন এসে তাকে মুখের মধ্যে নিয়ে নেয়।
মাইকেল চাচ্চু প্রথমে বুঝতে পারেননি কী হয়েছে। হঠাৎ তাকিয়ে দেখেন চারদিক অন্ধকার। একদম নড়তে পারছেন না।
তখনই বুঝতে পারলেন, বিশাল কোনো প্রাণী তাকে খাবার জন্য মুখের মধ্যে নিয়েছে। তিনি কোনো কামড় অনুভব করলেন না। হাত দিয়ে খুঁজে দেখলেন, প্রাণীটির কোনো দাঁতও নেই। তখনই বুঝতে পারলেন- এটি একটি তিমি।
এরই মধ্যে পার হয়ে গেছে প্রায় ২০ সেকেন্ড।
মাইকেল চাচ্চু জানতেন, তিমিরা ক্রিল নামের গুঁড়া চিংড়ি খায়। মানুষ খায় না। তাহলে কী কারণে তিমিটা তাকে মুখে নিল বুঝতে পারলেন না।
একটি হ্যাম্পব্যাক তিমি।
তিমির মুখ থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলেন, কিন্তু বিশাল আকারের তিমির সঙ্গে কী পারা যায়। তিনিও পারলেন না।
ওদিকে তিমিটা তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। আসলে মানুষের মতো বড় প্রাণী খাবার অভ্যাস তার নেই। মাইকেল চাচ্চু শেষ চেষ্টা করলেন। ঠিক এই সময় তিমিটা তাকে মুখ থেকে বের করে দিল।
মাইকেল সাঁতরে তীরে উঠে এলেন। তখনই চিনতে পারলেন তিমিটাকে। হ্যাম্পব্যাক তিমি ওটা। সম্ভবত চিংড়ি খেতে গিয়ে ভুলে মাইকেল চাচ্চুকে মুখে পুরে নিয়েছিল তিমিটা। ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড তিনি তিমিটার মুখের মধ্যে ছিলেন।
মাইকেল চাচ্চুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। তিনি এখন সুস্থ আছেন।